পুলিশ সদস্য মাদক সেবন করলে সরাসরি কারাগারে

মেজবাহুল হিমেল, রংপুর: রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ পুলিশ কমিশনার মোহা আবদুল আলীম মাহমুদ বলেছেন, বিগত দুবছরে নগরবাসির প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদের নিরাপত্তা বিধান সেবা সহ আইন শৃংখলা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয়েছে। সব গুরুত্বপুর্ন হত্যা কান্ডের রহস্য উন্মোচন খুনিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর নগরীর একটি হোটেলে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের দ্বিতীয় বর্ষ পুর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, রংপুর নগরীর মানুষ যাতে নিরাপদে চলতে পারে বাস করতে সেটাই আমাদের প্রধান কাজ। কোন পুলিশ সদস্য মাদক সেবন করলে প্রথমত তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হবে দ্বিতীয়ত তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, কোন পুলিশ সদস্য নিরাপরাধ কাউকে মাদক দিয়ে পঁসানোর চেষ্টা করে তাহলে তাকে বাড়িতে বিদায় দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এ ব্যাপারে এক চুল ছাড় দেয়া হবেনা।

পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, গত এক বছরে একহাজার সাতটি মামলা রুজু হয়েছে এর মধ্যে ৭৮৩টি মামলার তদন্ত সমাপ্ত করে নিস্পতি করে এক হাজার দুশ আসামীকে গ্রেফতার করাে হয়েছে। ট্রাফিক বিভাগ এক বছরে ৬০ হাজার ৯৪২টি মামলা রুজু করে দু কোটি দশ টাকা জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও করোনা মহামারীর সময় হ্যান্ড সেনিটাইজার তৈরী, মাস্ক সরবরাহ দুস্থদের মাঝে খাবার সহ বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান, উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) আবু বক্কর সিদ্দীক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মারুফ আহাম্মেদ ও উপ-পুলিশ কমিশনার সদর দপ্তর ও প্রশাসন) মহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনের আগে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের বিগত দুবছরে বিভিন্ন কর্মকান্ড অপরাধ দমন, মাদক উদ্ধার সহ বিভিন্ন অরাধিদের গ্রেফতার সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের ভিডিও উপস্থাপন করা হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, আগামী বছরের প্রথম কাজ হলো পুরো নগরীর রাস্তা বিশেষ করে হাজিরহাট থেকে দমদমা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা। এতে করে সড়ক দূর্ঘটনা রোধ সহ অপরাধিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে। রংপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত একজন কর্মকর্তা তার স্ত্রী তিনি অন্য ব্যাংকে চাকুরী করেন সেই স্ত্রীকে অকথ্য নির্যাতন করে রাতের বেলা শিশু সন্তান সহ বাসা থেকে বের করে দেবার ঘটনায় কোতয়ালী থানায় সেই নির্যাতিত নারী মামলা দায়ের করলেও দীর্ঘ দু মাসে পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করেনি এমনকি ঘটনা স্থল পরিদর্শন পর্যন্ত করেনি।

শুধু তাই পুলিশ কমিশনার হিসেবে আপনার তিনবার দেয়া নির্দ্দেশ পালন করেনি তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন আমি তিনবার বলেছি ঠিক তবে আসামীকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে তাকে গ্রেফতার করা হবেই। তিনি বিষয়টি দেখার জন্য ডিসি ক্রাইম মারুফ আহাম্মেদকে দেখার তাৎক্ষনিক নির্দ্দেশ দেন।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, লালমনিরহাটে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি কর্তৃক লালমনিরহাট কারাগারের সুপারকে ফোন করে তাদের সাথীদের মুক্তি না দিলে কারাগার উড়িয়ে দেবার হুমকি দেয়ায় সেখানে রেড এলার্ট জারী হয়েছে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কারা কতৃপক্ষের সাথে কথা বলা হয়েছে। তবে লালমনিরহাট কারাগারে জেএমবির জঙ্গি থাকতে পারে রংপুর কারাগারে নেই তারপরেও আমরা সতর্ক আছি। রংপুরে অচিরেই মেট্রোপলিটান আদালতের কার্যক্রম শুরু হবে ইতিমধ্যে গেজেট হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

পিবিএ/এসডি

আরও পড়ুন...