পিবিএ,কক্সবাজার: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘পেশাদারত্বের সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার তদন্ত করছে র্যাব।’ এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘সিনহা হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই। পারস্পরিক সমন্বয় রয়েছে।’
সোমবার বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে গুলি করার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন র্যাব মহাপরিচালক।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরো বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে কিছু বলছি না। আমরা এ ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি। এসব একটার সঙ্গে আরেকটা মেলাচ্ছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আমরা ফলাফল জানাতে পারব। তদন্ত ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে।’
এ সময় র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহাকে গুলি করার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। পরে তিনি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্ট পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তিনি ৩১ জুলাই রাতে সংঘটিত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। আর রামু থানায় একটি মামলা করে।
পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত,সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া,পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান,কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন,মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক।
পিবিএ/এমএসএম