ভূস্বর্গ কাশ্মিরের ক্যাপিটাল সিটি শ্রীনগর হতে প্রায় নব্বই কিলোমিটার পেহেলগাম, পেহেলগাম হতে আরো প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার এলোমেলো দূর্গম পাহাড়ি পথ পারি দিলে শুদ্ধ ও পবিত্র এই ঝর্ণায় ‘মহান রবের’ মহানুভবতা পরিলক্ষিত হয়।
দৃষ্টিনন্দন এ ঝর্ণার ভিন্নতা লক্ষনীয়। সুউচ্চ পাহাড় হতে নির্গত দুধের মতো দেখতে প্রবাহিত জল। একটু বিশ্লেষণে গেলে বিষয়টি সহজ হয়। এখানকার জলের ধারার নিচে, ওপরে, এবং পাশে ছোট বড় প্রায় সব পাথরই সাদা।
ভারত সরকার এ ঝর্ণার পাশ দিয়ে সরু একটা রাস্তা করে দিয়েছে। ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য বিষয়টি আনন্দের। জিপ, টেক্সি, মাইক্রোবাস নির্বিঘ্নে এ রাস্তায় চলাচল করতে পারে। বিকেলে বিভিন্ন দেশের পর্যটকের আনন্দমেলা বসে। এখানকার পর্যটকদের মধ্যে সাধারণত ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের লোকজন বেশি। তারপর বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় পর্যটক।
এই ঝর্ণার জল বরফভাঙ্গা ঠান্ডা। এতো ঠান্ডা যে, হাতপা জমে যাওয়ার অবস্থা! ঝর্ণার জলে নামতে হলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন অত্যন্ত জরুরি। ইউরোপের পর্যটকদের সান্নিধ্যে থাকলে বিষয়টিতে সাহস সঞ্চারিত হয়। তারা নিমিষেই বরফ জলে নামছে! অত্যন্ত ঠান্ডা আবহাওয়াতেও তাদের সাহসিকতা দেখলে বিস্মিত হতে হয়।
ছোটকন্যা ভীষণ আপ্লূত হয়ে খানিকটা জলকেলি করেছে। ভয়ে ভয়ে থেকেও তাকে বাঁধা দেইনি।
এ ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে সময় একটু বেশি নিয়ে যেতে হবে। পেহেলগামে এমন দূর্গম ঝর্ণার সংখ্যা অনেক। মেঘ আর পাহাড়ের মিতালিতে এমন ঝর্ণার সৃস্টি। পাহাড়ের কান্নার জল এক একটা নদী বানিয়ে দেয়। সে নদী জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে সৃষ্টির শুরু হতে।
মেঘ, পাহাড়, ঝর্ণা, নদী সবই যাপিত জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্ভরতা। মহান আল্লাহ পাকের কাছে অসীম শুকরিয়া।