প্রকৌশলীকে মারধর, লালমনিরহাটে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা গ্রেফতার

পিবিএ,লালমনিরহাট: ‘নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে প্রকৌশলীকে মারধরের মামলায় লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি একেএম হুমায়ুন কবীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ষ্টোশন রোড থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে আদিতমারী থানা পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের সরলখাঁ উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় কাজ পরিদর্শনে গেলে এ হামলার শিকার হন তারা। আহত প্রকৌশলী জাকিরুল ইসলাম লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের চাংরা গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। তিনি আদিতমারী উপজেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী পদে কমব্রত।

নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে প্রকৌশলীকে মারধরের মামলায় লালমনিরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি একেএম হুমায়ুন কবীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
একেএম হুমায়ুন কবীর

মামলার বিবরনে জানাগেছে,আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের সরলখাঁ উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় কাজ পরিদর্শনে গেলে। এ সময় কাজের মান নিম্নমানের উল্লেখ করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে রাস্তার কাজ বন্ধ করার দেয়ার হুমকী দেয় প্রকৌশলী জাকিরুল ইসলামকে। এমনকি অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি একেএম হুমায়ুন কবির ও তার লোকজন।

এক পর্যয়ে হুমায়ুন কবির ও তার লোকজন লাঠি সোটা নিয়ে প্রকৌশলী জাকিরুলের ওপর হামলা চালায়। এসময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স অভি এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রকৌশলীকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার সহকর্মী আশরাফুল ইসলামও আহত হন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ওইদিন রাতে অভিযুক্ত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি একেএম হুমায়ুন কবিরসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে উপ- প্রকৌশলী জাকিরুল ইসলাম বাদি হয়ে আদিতমারী থানায় মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতার করে তাকে।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাসুদ রানা বলেন, লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় হুমায়ুন কবীরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

পিবিএ/এএইচআর/আরআই

আরও পড়ুন...