প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে লরিতে ৩৯ জন মারা যান

পিবিএ ডেস্ক: ইংল্যান্ডের এসেক্সে কন্টেইনার লরি থেকে যে ৩৯ মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে তারা ট্রেইলারের মধ্যে প্রচণ্ড ঠান্ডায় মারা গেছেন।

শনিবার ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, ৩৯ অভিবাসন প্রত্যাশী ভয়ংকর ঠাণ্ডা, বাতাসহীন এবং শব্দ প্রতিরোধী মালবাহী ট্রেইলারে আটকা পড়েছিলেন। মৃত্যুর আগে তাদের বাঁচার আকুতি শোনার কেউ ছিল না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রেইলারের মধ্যে মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপামাত্রায় তারা প্রায় ১৫ ঘণ্টা বন্দিদশা অবস্থায় ছিল। একপর্যায়ে তারা জমে গিয়ে লাশ হয়ে গেছে।

ট্রেইলারটি বেলজিয়ামের জিব্রুগা বন্দর থেকে বুধবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেমস নদীর পারফ্লিট নদীবন্দরে আসে। রাত ১টা ৫ মিনিটের একটু পরে লরি ও ট্রেইলারটি পারফ্লিটের বন্দর ত্যাগ করে। এরপর রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা নিকটবর্তী গ্রেইস শহরের ওয়াটারগ্লেইড শিল্প পার্ক এলাকায় ট্রেইলারটির ভেতরে মৃতদেহগুলো দেখতে পান।

বেলজিয়াম থেকে কার্গো ফেরিতে করে যুক্তরাজ্যে আসার চেষ্টা করছিল তারা। ধারণা করা হচ্ছে, চীন থেকে প্রায় ৫ হাজার মাইল ভ্রমণ করে জিব্রুগায় পৌঁছেছেন ভুক্তভোগীরা। এরপর ভারনা, বুলগেরিয়া হয়ে এসেক্সের পারফ্লিটে আসে তারা। সাধারণত এ ধরনের ট্রেইলারে বিস্কুটের মতো পণ্য আনা-নেয়া করা হয়।

ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির বিশ্বাস, এ ঘটনার সঙ্গে কোনো সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত। পুলিশ জানিয়েছে, লরির সামনের অংশ, যেখানে চালক বসেন তা উত্তর আয়ারল্যান্ড থেকে আলাদাভাবে চালিয়ে আনা হয়। কনটেইনারটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন রবিনসন।

পরে তিনি পারফ্লিট থেকে কনটেইনারটি তুলে নেন। তবে তিনি জানতেন কনটেইনারের ভেতরে কয়েকজন অভিবাসী রয়েছেন। পুলিশকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়ার ২০ মিনিট আগে তিনি বুঝতে পারেন- ট্রেইলারের কুলিং মেশিন চালু ছিল।

অভিবাসনের আশায় ঝুঁকি সত্ত্বেও কনটেইনারে করে বিভিন্ন দেশে প্রবেশ করতে গিয়ে মৃত্যুর ঘটনা গত কয়েক বছরে অনেক বেড়েছে।

এর আগে ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করার সময় কনটেইনারে দম বন্ধ হয়ে মারা যান ৫৮ চীনা নাগিরিক। ডোভার থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৫ সালে অস্ট্রিয়ান মহাসড়কে পরিত্যক্ত একটি লরির ভেতর পাওয়া গিয়েছিল ৭১ জনের মরদেহ।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...