প্রতিশোধ নিতেই মালিকের স্ত্রী-সন্তানকে খুন

ইনসান সাগরেদ,পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ে প্রতিশোধ নিতে মাসহ ২ ছেলেকে খুন করা হয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। জানা যায় পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। মুরগীর খামারের খাবার চুরির দায়ে কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয় ৪ শ্রমিককে। আর সেই জেদে কাপড় ব্যবসায়ী সেলিম শেখের উপর ক্ষিপ্ত হন চার শ্রমিক।

গত বুধবার রাতে তারা ব্যাবসায়ী সেলিমের বাসায় যান তবে তাকে বাসায় না পেয়ে তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে ধারালো ছুরি ও বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা।

পুলিশ সুপার আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত নবিন ইসলাম জাহিদ (২৮) নামে এক যুবককে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে তার চাচা দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে নিয়ে অভিযানে বের হয় আটোয়ারী থানা পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলের কিছু দূরে আজিজুল ইসলামের বাঁশ ঝাড় থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্ত মাখা ধারালো ছুরি, বটি উদ্ধার করা হয়। তবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপর তিন আসামী পলাতক রয়েছেন। তাদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনায় কাপড় ব্যবসায়ী সেলিম শেখ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আটোয়ারী থানায় ৪ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার পশ্চিম সাতখামার এলাকার ফজলার রহমানের ছেলে গ্রেপ্তার হওয়া নবিন ইসলাম জাহিদ (২৮, বোদা পৌরসভার ইসলামবাগ (মোসলেমপুর) এলাকার শফিউর রহমানের ছেলে সাজ্জাদুর রহমান বাধঁন (২৭), নগরকুমারী এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে রিমন ইসলাম (৩০), ইসলামবাগ (কলেজপাড়া) এলাকার সলিম উদ্দীনের ছেলে রিফাত (৩২)।

সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) এসএম শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস্) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিরুল্লা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার রায়, আটোয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহীনুর রহমান তালুকদারসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে নবিন ইসলাম জাহিদকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

আরও পড়ুন...