আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের উপলব্ধি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। করোনা মহামারিতে বাংলাদেশ পুলিশ নিজেকে যেভাবে জনগণের বন্ধু হিসেবে উপস্থাপন করেছে। তা যেন আগামী দিনগুলোতেও বজায় রাখা যায়।
আইজিপি গতকাল ডিএমপির এক সভায় প্রশ্ন করেছেন, ‘করোনা গেলে কি আমরা আগের স্বরুপে আর্বিভুত হবো!’ এই যে বলছি প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশই সেরা। সকল জনসাধারণের মত আমাদেরও প্রত্যাশা পুলিশ এই ভাবমূর্তি ধরে রাখুক।
ব্যক্তিবিশেষের মানসিক পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক কিছুতেই পরিবর্তন আসতে পারে। শুধু যে সাধারণ মানুষের মাঝে পুলিশের ভাল জাহির হয়েছে তাই নয়। আইজিপির নেতৃত্বে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের ইচ্ছা এবং মাঠ পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের মাঝে তার প্রতিফলন বাংলাদেশ পুলিশে চেইন অব কমাণ্ডের সুশৃঙ্খলতাও প্রমাণ করে। যা বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।
বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের এ এক অনন্য সাফল্য। যেখানে এই কিছুদিন পূর্বেও পুলিশের কথা উঠলেই ঘুষ, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও রুদ্রমূর্তির ছবি মানুষের মনে ভেসে উঠতো। কয়েকমাসের ব্যবধানে করোনা মহামারিতে সেই পুলিশই জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছে।
এই সেবার মানসিকতা আসলে হঠাৎ করে প্রকাশ হওয়া কোন ঘটনা হতে পারে না। হয়ত প্রশিক্ষণ এবং সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে পুলিশের মাঝে এই সেবামূলক মনোভাব সুপ্তই ছিলো। দক্ষও নিষ্ঠাবান নের্তৃত্ব এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতায় তাদের সেই সুপ্ত সেবার বাসনা জাগ্রত হয়েছে। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে পুলিশই সর্বপ্রথম হানাদার পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে।
পুলিশের এই সেবার ভাবমূর্তি আগামী দিনগুলোতেও যেন অব্যাহত থাকে। আইজিপি ড. বেনজীরের উপলব্ধি পুলিশ সদস্যদের মনে রেখাপাত করুক। জনগণের বন্ধু হিসেবে পুলিশ টিকে থাকবে এই আমাদের ভবিষ্যত প্রত্যাশা।
পিবিএ/ শতাব্দী আলম