প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন জোড় বাংলা মন্দির

পিবিএ,পাবনা: জোড় বাংলা মন্দির পাবনা জেলার রাঘবপুর উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে, জোড় বাংলা মন্দিরটি ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে নির্মাণ করা হয়েছিল।

এছাড়াও এটাও প্রচলিত যে মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন ব্রজমোহন ক্রোড়ী নামক একজন যিনি মুর্শিদাবাদ নবাবের তহশীলদার ছিলেন। তবে মন্দিরটি পাবনা জোড় বাংলা মন্দিরের মুখ্য আকর্ষণটি হচ্ছে এর ছাদ। দেশে ও দেশের বাইরে অন্যান্য জোড় বাংলা মন্দিরের যে বৈশিষ্ট সেই একই বৈশিষ্ট এরও বিদ্যমান। দোচালা টিনের ঘরের চালের মতো করে তৈরি করা ছাড়া ছাদ। এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলায় একই রকমের ছাদবিশিষ্ট বেশকিছু মন্দির দেখতে পাবেন। যেমন কান্তনগর জোড় বাংলা মন্দির, বিষ্ণুপুর জোড় বাংলা মন্দির, ঈশ্বরদী জোড় বাংলা মন্দির এরকম আরও অনেক জোড় বাংলা মন্দির আছে। প্রতিটি একই রকম দোচালা টিনের ঘরের চালের মত ছাদবিশিষ্ট। এর বেশ কিছু সংরক্ষিত হয়েছে। বাকিগুলা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পাবনা জোড় বাংলা মন্দিরের মালিকানা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অধিগ্রহণ করেন। যার ফলাফলস্বরূপ পাবনার জোড় বাংলা মন্দির আজ অবধি দর্শনীয় স্থানের অবস্থান ধরে রাখতে পারছে। নির্মাণশৈলীতে অসাধারণ পাবনার জোড় বাংলা মন্দির। পুরো স্থাপনাটি একটি ইটের বেদীর উপর দাঁড় করানো। যার সাথে বিষ্ণুপুর জোড় বাংলা মন্দিরের অনেকটা মিল পাওয়া যায়।মন্দিরের সামনে রয়েছে তিনটি প্রবেশপথ আর প্রবেশ পথের দুই পাশে দু’টো বিশাল বিশাল স্তম্ভ। এই দু’টোই স্তম্ভ এবং প্রবেশপথগুলো এক সময় পুরোটাই টেরাকোটার কারুকার্যমন্ডিত ছিল। এখনও প্রায় পুরো মন্দিরটিতেই আপনি এ ধরনের টেরাকোটার অনন্য শৈলী দেখতে পাবেন। এখানে আশ্চর্যের বিষয় হলও দেয়ালের নকশা, আর টেরাকোটার কারুকার্য একেবারে পুরোপুরি ভাবে মিলে যাবে বাংলাদেশের আরেকটি ঐতিহ্য দিনাজপুরের কান্তজীউ মন্দিরের সাথে। মন্দিরের পেছন দিকে রয়েছে একটি বেরোবার পথ। মন্দিরের ভেতরে তেমন কোনো কারুকার্য দেখা যায় না।

পিবিএ/টিএইচ/হক

আরও পড়ুন...