প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা : প্রেসক্লাব ও পিবিএ’র নিন্দা

পিবিএ, বাউফল : আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ কর্মী তাপস নিহতের ঘটনায় আসামি করা হয়েছে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার বাউফল উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মিজানুর রহমানকে। মামলায় ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫জনকে আসামী করা হয়েছে।

মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে, বাউফল পৌরসভার মেয়র ও পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জুয়েলকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তাপসের ভাই পঙ্কজ চন্দ্র দাস।

প্রকাশ্য দিবালোকে একটি হত্যা মামলায় একজন পেশাদার সাংবাদিককে আসামি করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবসহ উপজেলা প্রেসক্লাবগুলো।

এক যৌথ বিবৃতিতে পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী শামসুর রহমান ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক মুফতী সালাহউদ্দিন বলেন, প্রকৃত ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদিকতা করতে গিয়ে সাংবাদিকরা কোনো দল বা গ্রুপের প্রতিহিংসার শিকার হওয়া স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড়ই হুমকি। তাই আমরা অতি দ্রুত ওই মামলা থেকে সাংবাদিক মো. মিজানুর রহমান মিজানের নাম প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। এছাড়াও রাঙ্গাবালী প্রেসক্লাব, দুমকি প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম এবং সাংবাদিক কল্যান পরিষদ উক্ত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

জানা যায়, বাউফল থানা ও জেলা পরিষদ বাংলোর সামনে তোরণ নির্মানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার দুপুরে সাবেক চিফ হুইপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম ফিরোজের সমর্থিত নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ সময় আ.স.ম ফিরোজ সমর্থিত যুবলীগ কর্মী তাপস দাসকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মেয়র সমর্থিত কর্মীরা। ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় তাপস ও ইমাম নামের আরেক যুবলীগ কর্মীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাপসের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষই পৃথক পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছে।

মামলার ব্যাপারে সাংবাদিক মিজান বলেন, ‘তাকে হয়রানি করার উদ্যেশ্যেই এই মামলায় আসামি করা হয়েছে’

বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাদির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করেছি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারি এই মামলায় একজন সাংবাদিককে আসামী করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করবে। মামলায় নিরপরাধ কোন ব্যক্তিদের হয়রানি হওয়ার সুযোগ নেই।’

পিবিএ’র নিন্দা : প্রথমআলো বাউফল উপজেলা প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা পিবিএ।
দলীয় আভ্যন্তরীন দুই গ্রুপের সংর্ঘষে নিহত হবার ঘটনায় সাংবাদিকের নাম জড়িয়ে মামলা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক। অবিলম্বে আমরা তার নাম মামলা থেকে বাদ দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

পিবিএ/সুনান বিন মাহাবুব/এমএ

আরও পড়ুন...