সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। ভারতে ১৮তম লোকসভায় প্রধান বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধীই।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল এমন কথাই জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮তম লোকসভায় রাহুল গান্ধী প্রধান বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন বলে মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। তিনি বলেছেন, ‘সিপিপি চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মাহতাবকে চিঠি লিখে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে রাহুল গান্ধীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।’
এছাড়া অন্যান্য পদাধিকারীদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মূলত বুধবারই ভারতের ১৮তম লোকসভা সাক্ষী হতে চলেছে এক বড় লড়াইয়ের। বিরোধী এবং শাসক জোটের মধ্যে ভোটাভুটি হবে লোকসভার স্পিকার পদ নিয়ে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই এই সিদ্ধান্ত জানানো হলো।
এদিকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার আগে দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে ইনডিয়া জোটের লোকসভার নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাহুল। সেই বৈঠকেই তাকে লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অবশ্য গত ৯ জুন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছিল। তারপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রাহুলের ওপরই দেওয়া হয়েছিল। রাহুল গান্ধী সেসময় জানিয়েছিলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই বিষয়ে ভেবে দেখার জন্য তার কিছুটা সময় দরকার।
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী বিরোধী দলনেতার পদে যাওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ দুই দশক পর লোকসভার প্রধান বিরোধী দলের নেতা পদটি ফিরে পেল কংগ্রেস। ২০১৪ সালের নির্বাচনে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময় কংগ্রেস মাত্র ৪৪টি আসন জিতেছিল। আর ২০১৯ সালে জিতেছিল ৫২টি আসন।
দুইবারই বিজেপির পর সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সংসদে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি দলটি। নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভায় ১০ শতাংশের কম আসন পেলে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা বা প্রধান বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়া যায় না।