
রাজন্য রুহানি,জামালপুর: জামালপুর জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেছেন, প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্বজয় করা সম্ভব। তিনি তাঁর জীবনের উদাহরণ টেনে বলেন, আমি বাংলাদেশে বসে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাশ করে ডিগ্রি অর্জন করেছি।
তিনি বলেন, সামাজিক সচেতনতামূলক কাজের পাশাপাশি কারিগরি প্রশিক্ষণের উদ্যোগ সরকারের চলমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে প্রযুক্তিজ্ঞান ছাড়া মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থানের সুযোগ কম। এক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সংঘের মাধ্যমে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম কর্মসক্ষম যুবক, যুবতীদের জন্য বড় ধরনের একটা সুযোগ।
সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জামালপুর পৌরসভার দেউড়পাড় চন্দ্রায় উন্নয়ন সংঘের ডিটিআরসি সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি উন্নয়ন সংঘের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ স্ক্রিপ্ট প্রকল্পের সাফল্য কামনা করেন।
কারিগরি জ্ঞান, দক্ষতা এবং সামাজিক সচেতনতা অর্জনের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষের উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন উপভোগ করার লক্ষ্যে উন্নয়ন সংঘের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্বোধন ও স্ক্রিপ্ট প্রকল্পের অবহিতকরণে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অবহিতকরণ সভার আগে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নামফলক উন্মোচন শেষে লালফিতা কেটে কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। বাটন চেপে আনুষ্ঠানিকভাবে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
উন্নয়ন সংঘের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম খান, পুলিশ পরিদর্শক মকবুল হোসেন, উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা, উপনির্বাহী পরিচালক ফাহাদ মাহমুদ ইবনে হুদা, তৃতীয়লীঙ্গের প্রতিনিধি মুন্নি প্রমুখ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম এবং প্রকল্পের ধারণা পত্র উপস্থাপন করেন স্ক্রিপ্ট প্রকল্পের ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র সরকার। সভায় তৃতীয়লীঙ্গের সদস্য, গৃহকর্মী, বিপদাপন্ন পরিবারের সদস্য, প্রশিক্ষণার্থী এবং সংস্থার কর্মীসহ অর্ধশতাধীক লোক অংশ নেন।
সমাজের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী তৃতীয় লীঙ্গের সদস্য, গৃহকর্মী ও বিপদাপন্ন নারী, শিশুদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং অধিকার সুরক্ষায় উন্নয়ন সংঘের স্ট্রেনদেনিং ক্যাপাসিটি এন্ড রাইটস ইনিসিয়েটিভ থ্রো প্রোমোশন অফ টেকনোলজিস্ট (স্ক্রিপ্ট) প্রকল্পের অর্থায়ন করছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্টিল কোম্পানি বিএসআরএম।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ১৫০ জন কম্পিটারে, ১৫০ জন সেলাই এবং ওয়েলডিংয়ে ৬০ যুবক, যুবতী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ভাতা দেয়া হবে। এছাড়া অতীতের ধারাবাহিকতায় ২৩০ জন সদস্যকে বিভিন্ন আয়মুখী কাজের জন্য ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিনাসুদে ঋণ দেয়া হবে।