প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে খাগড়াছড়িতে নির্বিচারে কাটছে পাহাড়

পিবিএ,খাগড়াছড়ি: প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে খাগড়াছড়িতে নির্বিচারে অবৈধ ভাবে পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অদৃশ্য রহস্যের কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধ পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন চলছে ও প্রশাসনের নীরবতায়পাহাড় খেকো ও বালু উত্তোলনকারীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।


এ সকল কারণে নষ্ট পচ্ছে পরিবেশ ও ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। জেলার মাটিরাঙা ,মানিকছড়ি,লক্ষ্মীছড়ি,পানছড়ি দিঘিনালা,গুইমারার তৈকর্মা, চিংড়িপাড়া, মুসলিমপাড়া বাইল্যাছড়িতে কিছু দিন পর পরই পাহাড় খেকো ও অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠে।

এদের এসব অবৈধ কাজের চিত্র বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হলেও ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলে তারাই আবার দ্বিগুন উৎসাহি হয়ে সে অবৈধ কাজে আবারো লেগে পড়ে।
স্থানীয় বালু খেকোরা সরকারী কোন রাজস্ব না দিয়ে ইজারা ছাড়াই অবৈধ ভাবে খাল,নদী ও ছড়া থেকে লক্ষ লক্ষ ফুট বালু উত্তোলন করছে। অপরদিকে নির্বিচারে হৃদয়হীন পাহাড় খেকোরা নির্দয়ভাবে পাহাড় কেটে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করলেও যেন দেখার কেউ নেই।

একটি বিশেষ মহল রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলন করেও ক্ষান্ত হচ্ছে না কেটে নিয়ে যাচ্ছে খাল-নদীর দু-পারও। গুইমারায় ঘটছে এ ধরনের ঘটনা। সরকার বিপুল রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি বর্ষার ভরা মৌসুমে বেড়ে যায় নদীর আগ্রাসী ভাঙ্গন। ফলে রাক্ষুসে হয়ে উঠে বিপজ্জনক পড়ে নদী-খাল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হয় সাধারণ মানুষকে।

গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়িতে চিংড়িপাড়া তৈকর্মা এলাকায় পাহাড় ও খাল থেকে রিফাত, রনি ও নজরুল গং’রা দিনের পর দিন এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত থেকে এমন অপরাধ করে গেলেও প্রশাসন যেন দেখেও দেখে না। সাধারণ মানুষের দাবী তাদের মোটা অঙ্কের টাকার কাছে আইন প্রয়োগকারী প্রশাসন এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় এক কৃষি কর্মকর্তা জানান, এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে বর্ষা মৌসুমে খালের দু’ধার ভেঙ্গে ফসলি জমি গুলো খালের গর্ভে পতিত হবে। এছাড়াও মাটির উপরের অংশ কেটে নিয়ে গেলে ফসলের ফলন ও আবাদ হুমকিতে পড়বে।

স্থানীয় কৃষক অংলা মার্মা পিবিএকে বলেন, বালু খেকোদের এমন আগ্রাসী কান্ডে আমরা খালপাড়ে বসবাসরত কৃষকরা ভয় ও উৎকন্ঠায় বসবাসসহ ঝুঁকির মধ্যে আমাদের ফসলের জমি গুলো খালের ভাঙ্গনে বর্ষায় হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকতে হয়। এছাড়া ১৫০-২০০ফুট খাল পাহাড় গুলো কেটে ফেলায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত পরিবারগুলো পাহাড় ধ্বসে ব্যাপক প্রানহানির আশঙ্কায় থাকতে হয়।

এ ব্যাপারে গুইমারা ইউএনও বিভিষন কান্তি দাশ জানান, এসকল অপরাধীদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত বিদ্যমান রয়েছে। আবারো অভিযান পরিচালনা করা হবে তিনি জানান।

পিবিএ/এএম/হক

আরও পড়ুন...