পিবিএ,গোপালগঞ্জ: ঢাকা-ভাটিয়াপাড়া-কালনা ভায়া যশোর-খুলনা সড়কের গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া থেকে কালনা ফেরিঘাট পযর্ন্ত তিন কিলোমিটার সড়কে বালু ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্মে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যানবাহন ও পথচারীদের।
বছরের পর বছর ধরে সড়কের দুই পাশে রাস্তার উপর বালু রেখেই রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। দেখার কেউ নেই বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, ঢাকা-ভাটিয়াপাড়া-কালনা ভায়া যশোর-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া গোলচক্কর থেকে কালনা ফেরি ঘাট পযর্ন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য বালুর চাতাল তৈরী ব্যবসা করে যাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালীরা।
বালু ব্যাবসায়ীরা দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে সরকারি রাস্তার জায়গায় দখল করে প্রসাশনের বিনা অনুমতিতেই রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই সড়কে চলাচলকারি যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। যাতায়াতকারি যানবাহন ও পথচারীদের চোখেমূখে বালু উড়ে যাচ্ছে। ওই তিন কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশের অসংখ্য বালুর চাতালের বালু রাস্তার অর্ধেক জায়গা দখল করে রেখেছে।
তা’ছাড়া প্রতিনিয়তই কাপেটিং রাস্তার অর্ধেক জায়গা দখল করে বালুবাহী ট্রাকগুলি লোড-আনলোড করা হয়ে থাকে। ফলে এই সড়কে চলাচলকারী শত শত বাস, ট্রাক, পিক-আপ, মটর সাইকেল, ভ্যান রিক্সাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে চরম ভোগান্তীর শিকার হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অবস্থা চলতে থাকলেও গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা কার্যকরী কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী জানান, সড়কের দুই পাশে বালু রাখায় শুধু ডানবাহনই নয় স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদেরও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অনেক সময় বালুর কারনে জাসমা কাপড় নষ্ট হয়ে যাওয়া স্কুল ও কলেজে যেতে পারে না। সেই সাথে বাতাসের সাথে বালু উঠে চোখে মুখে যাওয়া হোখের রোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার মোঃ শরিফুল আলম অবস্থার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা আইন শৃংখলা সভায় তুলেছি। সামনের সভায় আবারও বিষয়টি তুলবো।
পিবিএ/বিএস/হক