প্রাক্তনের সঙ্গে ‘হাই, হ্যালো’ হলে তখন সম্পর্ক হয়ে ওঠে মারাত্মক

পিবিএ ডেস্কঃ যুগ পালটেছে। এখন নব্বই দশকের সেই ‘প্রেম যার সঙ্গে হয়, তার সঙ্গেই বিয়ে হয়। একটাই জীবনে একাধিকবার সম্পর্কে জড়ায় মানুষ। কিন্তু বিয়ের মানে একটি স্টেডি রিলেশন। এখানে কোনও দোলাচালের খেলা নেই। বিয়ে তখনই মানুষ করে যখন সে অনেক পরিণত। কিন্তু অনেক সময় এই সুখের বৈবাহিক জীবনের তাল কেটে দিতে পারে প্রাক্তন সম্পর্ক। আর প্রাক্তনের সঙ্গে দেখা বা কথা বলে তো কথাই নয়। একটা ‘হাই, হ্যালো’ -ও তখন হয়ে ওঠে মারাত্মক।

অনেকে প্রাক্তনকে এড়াতে নানা রকম ফন্দিফিকির খোঁজে। বেশিরভাগ মানুষ তো প্রাক্তনদের ফোন নম্বর বা বাড়ির ঠিকানা জানলেও মস্তিস্ক থেকে জাস্ট মুছে ফেলে। এমন কোনও জায়গায় যাওয়া বন্ধ করে দেয় যেখানে প্রাক্তনের সঙ্গে দেখা হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এভাবে কতদিন? স্বামীর ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্ত্রীয়ের ক্ষেত্রে স্বামীর প্রাক্তনদের সারা জীবন এড়িয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। পৃথিবী তো গোল। যখনতখন দেখা হয়ে যেতেই পারে। আর প্রাক্তনরা কমন-ফ্রেন্ড হলে তো কথাই নেই। তাই প্রাক্তনদের সামলাতে একটু বুদ্ধি খরচ করুন।

যদি কখনও আপনার স্বামী বা স্ত্রী প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধূত্ব রেখে চলেন, তবে তাকে সমর্থন করুন। বিশ্বাস করুন। তবে উল্টোদিকের মানুষটাকেও খেয়াল রাখতে হবে, সেই বন্ধুর সঙ্গে কিন্তু আগে সম্পর্ক ছিল তার। এমন কোনও ঘটনা ঘটাবেন না, যাতে আপনার স্ত্রী বা স্বামীর বিশ্বাস ভেঙ্গে যায়। অন্য বন্ধুদের সঙ্গে যা ব্যবহার করেন, তার সঙ্গেও ঠিক সেটাই করুন। এক চুলও বেশি নয়। কারণ এক্ষেত্রে তিলের মতো ছোট্ট ঘটনা তাল হয়ে চোখে পড়ে। সম্ভব বলে প্রাক্তনের সঙ্গে আপনি নিজেও বন্ধুত্ব পাতান। দেখবেন, সম্পর্ক অনেক সহজ হয়ে যাবে।

দৃঢ় হাতে হাল ধরতেই পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে উল্টো প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। আপনাকে বেশি পজেসিভ ভেবে ফেলতে পারেন আপনার স্বামী বা স্ত্রী। তাহলে কেঁচে যাবে আপনাদের সম্পর্কটাই। প্রাক্তনকে দূরে ঠেলতে গিয়ে আপনি নিজেই দূরে চলে যেতে পারেন। তার চেয়ে সমর্থন করা বুদ্ধিমানের মতো কাজ নয় কি?

ধৈর্য ধরুন। এর চেয়ে ভাল সমাধানের পথ বোধহয় আর নেই। মনে রাখবেন, আপনার স্বামী বা স্ত্রী কিন্তু জীবনসঙ্গী হিসেবে আপনাকেই বেছে নিয়েছেন। তাই তাঁর অতীত নিয়ে গল্প না-ই করলেন। কারণ গল্পে কাজ তো হবেই না, বরং উল্টোটাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই একটু সময় দিন।

আরও পড়ুন...