প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুড়ে আসুন রাঙ্গামাটির কাট্রলী বিলে

পিবিএ,খাগড়াছড়ি : পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলার কাট্টলী বিলে শীতের শেষের ভাগে অতিথি পাখির বিচরন আর কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠছে লংগদু’র কাট্টলী বিল।মন কে মাতিয়ে তুলতে চলে আসুন প্রকৃতির সাথে নিজের আপন জন কে সাথে নিয়ে আসতে পারেন এই কাট্রলী বিলের দীপে।

কাট্রলী বিলের বিশাল জলরাশি আর সূর্যের সমষ্টি মিলে যেন এক আলোকিত মিলন মেলা। বিজলী’র মতো চোখকে ফাঁকি দিয়ে যায়! ঝলকানো সূর্যের আলো শরীরের মন দোলানো আবেশ কেটে যায় এক নিমিশেই। ঠিক তখনই অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে বিলের চারপাশ এ যেন মায়াবী এক অতিথি পাখির প্রেমের মেলবন্ধনের। প্রকৃতির সাথে বিলের বিশাল জলরাশিতে ভেসে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি হয়ে আসা পরযায়ী পাখি। এসব পাখি শীতের শুরুতে হাজারো মাইল পারি দিয়ে আসে কাট্টলী বিলে। শীত শেষ হলেই আবার চলে যায়।শীতের মৌসুমে আসতে পারলে বেশ ভাল লাগে এই কাট্টলী বিলে,শীতের শেষে এই আনন্দ উপভোগ করা যায়,যদি হয় গোধুলী বিকেলের সন্ধায় তাহলে তো আর কোন কথা ই নেই। রাঙ্গামাটি জেলা থেকে বাগাইছড়ি উপজেলা যাওয়ার নৌপথের মাঝামাঝি এই কাট্টলী বিল। ভ্রমনের জন্য সবথেকে ভাল বাহন হলো ইন্জিন চালিত বোট,লঞ্চ,ভ্রমণপিয়াসু অনেকে হয়তো জানে না যে,এই কাট্টলী বিলের প্রকৃতির যে কি মেলবন্ধনের আবাস। যারা একবার আসে তারা যেন বার বার ছুটে আসতে চায় এই বিলে। ভালবাসার মানুষ যদি থাকে তাহলে তো কোন কথাই নেই, চলে আসতে পারেন এই নিরিবিলিতে দুইজনের প্রেমের কাব্যগন্থ তৈরি করতে। কাট্রলী বিলের পর থাকছে নানা রকম ছোট ছোট দীপসহ ,প্রিয়জন কে নিয়ে বিকেলে প্রকৃতির সাথে মিশে থাকতে পারেন,আপনার প্রিয়জন আপনাকেই যেন মনের মধ্যে গেথে রাখবে ছোট এই অল্পসময়ে ।

নৌপথে যাওয়া ভ্রমণে পিয়াসু এই কাট্টলী বিলের আনন্দ উপভাগ করছে, ভ্রমণ পিয়াসুদের জন্য পাহাড়ের আরো একটি চির পরিচিতি লংগদু উপজেলার কাট্টলী বিল।আপনি যদি দেখতে চান সূর্য ডোবার শেষ মুহূর্ত তাহলে আপনার স্বপ্ন কে সত্যি করতে চলে আসতে পারেন এই কাট্রলী বিলের দীপে?

এই বিলের বেশির ভাগ মানুষ জীবিকার জন্য মাছ ধরেন। মাছের দাম কম হলে তারা আবার সেই মাছ রৌদ্রে শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। এটি একটি মাছ উৎপাদন কেন্দ্রও বলা যায়।এই বিলটি যেমন পরযায়ী অতিথি পাখি আসে।এখানে অতিথি পাখিদের মধ্যে আছে গিরিহাঁস,বালিহাঁস, পনপানকৌড়ি, রাজবৈধর,সাদাবক,গাঙচিলর।হটটিটি, প্রজাতিই বেশি দেখা যায়।সূর্যস্থ যাওয়ার সময় এই সব পাখি গুলো উড়তে থাকে আকাশে , আর বাংলার মানুষ কতটা জীবন সংগ্রামে ত্যাগী তা হয়তো আপনি দেখতে পারবেন না উচু শহরের বিশাল ,বিশাল ভবনে থেকে ,আপনাকে প্রকৃতি দেখতে হলে চলে আসতে হবে এই সবুজ পাহাড়ের কানায় কানায় ,র্ঝণা ,গোহা,সাজেকের মতো জায়গা সহ?

নৌপথে আসা লোকজন নৌপরিবহনে বসে এই কাট্টলী বিলের আলোচনায় বেশে থাকে কাট্টলী বিলের আলাপচারিতা। আবার অনেকে মনে করছেন এই কাট্টলী বিল হতে পারে বড় একটি পর্যটকদের পর্যটন। এ বিলের বিশাল জলরাশি এবং অতিথির ভ্রমন কারী এই বিল কে আকৃষ্ট করে।

তবে আপনার জন্য থাকছে ভ্রমন গাইড হিসেবে দুই চার টি কথা<আপনি সাজেক থেকে ফেরার পথে চাইলে গুড়ে আসতে পারবেন,অথবা রাঙ্গামাটি ভ্রমনে আসলেন আর শুভলং জায়গাটা ভ্রমন করার পর চাইলে যেতে পারেন ?আর আপনার এই চির অচেনা জয়গা টা কি আপনার দেখতে মনচায় না?আপনার জীবন কে একমাএ ভ্রমন আর প্রকৃতির মাজে বিলিয়ে দিন দেখবেন আপনার মতো কেহ আর এতো টা সুখি নয়।

পিবিএ/এমএইচ/এইচএইচ

আরও পড়ুন...