পিবিএ ডেস্ক : পরনে সবুজ-সাদা চেক কাটা হালকা রঙের সালোয়ার। গলায় জড়ানো ওড়নাটা সামনে ঝোলানো। ভারতের লখনৌ বিমানবন্দরের বাইরে আসলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। পাশে ভাই রাহুল। মুহূর্তে যেন স্লোগানের ঝড় বয়ে গেল চৌধরি চরণ সিংহ বিমানবন্দর চত্বরে। চারদিক থেকে ভেসে যাচ্ছে শঙ্খধ্বনিতে। উড়ে আসছে ফুলের পাঁপড়ি।
কিছুক্ষণের মধ্যেই লখনৌ বিমানবন্দর থেকে বিশেষ বাসের ছাদে উঠে রোড শো শুরু করলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব দিয়েছে দল। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম উত্তরপ্রদেশে এলেন প্রিয়াঙ্কা। ধামাকাদার রোড শো দিয়েই তিনি ঢুকে পড়লেন লোকসভা ভোটের ময়দানে।
প্রিয়াঙ্কা আসবেন লখনৌয়ে। প্রায় ৩০ কিলোমিটার রোড শো করবেন। রবিবার রাত থেকেই তাই গোটা পথটাই মুড়ে ফেলা হয়েছিল ফ্লেক্স-ব্যানারে। যে পথে রোড শো করবেন প্রিয়াঙ্কা, সোমবার সকালে তিনি পৌঁছনোর অনেক আগে থেকেই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করেন সেই সব রাস্তায়। কারও হাতে পোস্টার। কারও হাতে ফুল। কারও হাতে শঙ্খ। মহিলারা উলুধ্বনি দিচ্ছেন। কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও একটা উৎসবের আমেজ।
বেলা ১টা নাগাদ প্রিয়াঙ্কা বিমানবন্দর থেকে বাইরে বেরিয়ে বিশেষ একটি বাসের ছাদে উঠে পড়েন। সঙ্গে রাহুল গান্ধী, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, রাজ বব্বরসহ অনেকেই। শুরু করলেন রোড শো। নিরাপত্তার জন্য সাদা সেই বাসের ছাদটা ঘেরা রেলিং দিয়ে। সেই ঘেরোটোপের মধ্যে দাঁড়িয়ে কর্মী সমর্থকদের দিকে হাত নাড়লেন প্রিয়াঙ্কা। কখনও জোড় হাতে প্রণাম জানালেন। বাকিরাও বাসের ছাদ থেকে হাত নাড়তে থাকেন।
বিমানবন্দর থেকে প্রিয়াঙ্কার বাস আলমবাগ, চারবাগ, হুসেনগঞ্জ, লালবাগ, হজরতগঞ্জ পেরিয়ে যাবে কংগ্রেস দফতর নেহরু ভবনে। বাসের সামনে-পিছনে লক্ষ লক্ষ মানুষ পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন। জনতার ভিড় থেকে দেওয়া হচ্ছে স্লোগান। চলছে পুষ্পবৃষ্টি। বাসের সামনে গোলাপি জামা পরে এগিয়ে যাচ্ছে ‘প্রিয়াঙ্কা সেনা’র ৫০০ সদস্য। তাদের জামায় প্রিয়াঙ্কার ছবি, হিন্দিতে লেখা, ‘দেশের সম্মানে প্রিয়ঙ্কাজি ময়দানে, মন দেব, সম্মান দেব, প্রয়োজনে দেব জীবনও’।
রবিবার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে একটি অডিও বার্তায় নতুন রাজনীতি শুরু করার ডাক দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ওই বার্তায় তিনি বলেন, ‘নমস্কার আমি প্রিয়াঙ্কা গাঁধী বঢরা। আগামী কাল লখনৌ আসছি। সবাই মিলে এক নতুন রাজনীতি সূচনা করব আমরা। এমন এক রাজনীতি, যেখানে আপনিও হবেন তার অংশীদার। আমার যুব বন্ধুরা, আমার বোনেরা এবং সবচেয়ে দুর্বল মানুষ-এখানে সকলের কথা শোনা হবে।’
এই রোড শো শেষে বক্তৃতা দেওয়ার কথা প্রিয়াঙ্কার। বক্তৃতা দেওয়ার কথা রাহুলেরও। কিন্তু তার আগে রোড শো থেকেই মোদীকে খোঁচা দিতে ভোলেননি রাহুল। তাই রাফায়েলের মডেল হাতে নিয়েই বাসের ছাদে উঠেছেন তিনি।
পিবিএ/জিজি