পিবিএ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেত্রী প্রিয়া সাহার দেশবিরোধী নালিশের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হচ্ছে এমন অভিযোগ নিয়ে নিরাপত্তার দাবিতে ক্ষমতাসীন বিজেপি শিবিরের শরণাপন্ন বাংলাদেশের হিন্দু মহাজোট।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘যুগশঙ্খ’ এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে। পত্রিকাটি প্রতিনিধি দলের ছবিও প্রকাশ করেছে।
এই ধর্মভিত্তিক দলটির নেতাদের আরো দাবি, গত মাসে প্রিয়া সাহা নামের এক নারী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভিযোগ তুলেছিলেন, তা নাকি পুরোপুরি সত্যি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৪-১৭ আগস্ট কলকাতা, আগরতলা ও দিল্লিতে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের নেতাদের তিনটি প্রতিনিধি দল আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের ওপর তথাকথিত নির্যাতনের অভিযোগনামা তথ্য-সহ দিয়ে গিয়েছেন।
আরও বলা হয়, দিল্লিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক প্রশান্ত হরতালকার এবং আরএসএসর নিখিল নামতকারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের দুই নেতা মিলন ভট্টাচার্য ও গঙ্গেশচন্দ্র দাস।
কলকাতায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাহুল সিনহা, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়সহ একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন হিন্দু মহাজোটের মানিক দে, মিঠু রঞ্জন দে, গোপাল পাল, দীপক কর, সুজন সরকার, পলাশচন্দ্র সরকার রবীন ঘোষ ও লাকি বাছাড়রা।
পত্রিকাটিকে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ প্রামাণিক বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন নিয়ে ভারতের বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন এবং বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। আমরা তাদের বলেছি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সামনে প্রিয়া সাহা যা বলেছেন, তা নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে। এই দেশকে হিন্দুশূন্য করার চক্রান্ত চলছে।’
উল্লেখ্য, গত জুলাই হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা।
সাহায্যের আবেদন জানিয়ে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ‘নাই’ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, মুসলিম মৌলবাদী ও উগ্রপন্থীরা তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। জমি ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কোনও বিচার হয়নি।’
হোয়াইট হাউসের এই ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে হইচই পড়ে গেছে নেট দুনিয়ায়। ট্রাম্পের কাছে করা প্রিয়ার অভিযোগের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন ব্যবহারকারী বাংলাদেশি নাগরিকরা। উঠেছে দেশদ্রোহীতার প্রশ্নও।
পিবিএ/জেআই