প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন

রাজন্য রুহানি,জামালপুর: প্রেম মানে না কোন বাধা! আর সেখানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব। জেলায় লকডাউন চললেও বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ৪ দিন ধরে চলছে প্রেমিকার অনশন।

জামালপুরের সরিষাবাড়ীর ডোয়াইল ইউনিয়নের রায়দের পাড়া গ্রামের প্রেমিক বাবু মিয়ার (২৪) বাড়িতে অনশনে বসেছে একই গ্রামের প্রেমিকা মিম। প্রেমিক বাবু মিয়া ওই এলাকার শাহ আলমের পুত্র।

প্রেমিকার ভাষ্যমতে, ২ বছর ধরে চলা প্রেমের সম্পর্ক প্রেমিকের পরিবার বিয়ে নিয়ে টালবাহানা করলে ১৫ এপ্রিল থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন তিনি। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করায় প্রেমিকের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক জনতা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওদের দুজনের মধ্যে ২ বছর ধরে প্রেম চলছিল। এই প্রেম গভির সম্পর্কে রূপ নিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। মীমের পরিবার এলাকার মাতুব্বরদের জানায় বিষয়টি। বাবুর সাথে মীমের বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তখনকার মতো ঘটনাটি ধামাচাপা দেয় প্রেমিকের পরিবার। কিন্তু বিয়ে করাতে নানা টালবাহানা ও কালক্ষেপণ করায় বাধ্য হয়ে অনশনে নামেন ওই প্রেমিকা। প্রেমিকাকে অনশনে দেখে পালিয়েছে বাবু নামের ওই প্রেমিকটি। এ নিয়ে স্থানীয় মাতুব্বরেরা একাধিকবার বৈঠক করলেও কোনো সুরাহা করতে পারেন নি।

অনশনে থাকা প্রেমিকা জানান, “আমাদের দু’জনের সম্পর্কে বাবুর ভাই হারুণের স্ত্রী সফুরা আক্তার সহযোগিতা করেছে। আমার সাথে বাবুর বিয়ে না দেয়ায় বুধবার রাত থেকে বিয়ের দাবিতে বাবুর বাড়িতে অনশনে আছি। বাবু আমার সবকিছু শেষ করেছে। আমাকে এখন বিয়ে করবে কে? এ মুখ কাউকে দেখাতে পারবো না। তাই বাবুকে বিয়ে না করে আমি বাড়ি ফিরে যাবো না। মরতে হলে বাবুর বাড়িতেই মরবো”।

প্রেমিকার পিতা বলেন, “আমার মেয়েকে ফুঁসলিয়ে ওরা সর্বনাশ করেছে। সমাজে আমরা এখন মুখ দেখাতে পারি না। আমার মেয়ে ওর জীবনের কথা চিন্তা করে বাবুর বাড়িতে অনশন করছে। বাবুর ভাবী ছফুরা ও বোন জুলেখা ওদের বাড়ি থেকে সরানোর জন্য মারপিট করেছে। আমরা গরিব হওয়ায় বারবার সালিশ হলেও সঠিক বিচার পাচ্ছি না ”।

অভিযুক্ত বাবু মিয়ার ভাবী ছফুরা আক্তার জানান, “বাবু কোথায় গেছে, জানি না। আমরা তাকে খুঁজেও পাচ্ছিনা। বাবু নাই তাই বিয়ে হবে কিভাবে!”

এ বিষয়ে ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন রতন বলেন,“ওই মেয়েটি বাবুর বাড়িতে অনশনে রয়েছে, বিষয়টি জানি। আবারও এও জানি, বাবুকে অন্যত্র বিয়ে করানোর চেষ্টা করছে তার পরিবার।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদ পিবিএ’কে বলেন, ঘটনাটি শোনে আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। তবে যেন জনসমাগম না হয়।

পিবিএ/মোআ

আরও পড়ুন...