প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কিশোরীকে ধর্ষণ

ধর্ষণ
কীর্ত্তণ শিল্পী (১৫) ধর্ষণের শিকার হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

পিবিএ,গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় কীর্ত্তণ শিল্পীকে (১৫) ধর্ষণ করেছে দুই বখাটে। বৃহস্পতিবার রাতে কোটালীপাড়া উপজেলার পীড়ারবাড়ি গ্রামে এ ঘটন ঘটে। ঘটনার পর ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে গোপালগঞ্জ-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পীড়ারবাড়ি গ্রামের পরিক্ষিত মল্লিকের ছেলে পরিমল মল্লিক (২২) ও গুরুদাস মল্লিকের ছেলে কালু মল্লিক(১৯) এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ওই কিশোরী ও তার পরিবার। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী জানায়, বেশ কিছুদিন আগে থেকে পরিমল মল্লিক তার পরিচয় গোপন করে ফোনে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। আমি সাড়া দেইনি। পরে পরিমলের পরিচয় পাওয়ার পর আমি তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় প্রতিশোধ নিতে পরিমল ও তার সহযোগী কালু আমাকে ধর্ষণ করেছে। কিশোরীর বাবা

ধর্ষণ
কীর্ত্তণ শিল্পী (১৫) ধর্ষণের শিকার হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

দুর্ঘটনায় পঙ্গু সবজি ব্যবসায়ী জানান, আমার মেয়ে খুলনার লক্ষ্মী নারায়ণ সম্প্রদায় নামের একটি কীর্ত্তনের দলের শিল্পী। গত দুই দিন আগে ৩ দিনের ছুটিতে বাড়ি সে আসে। বাড়িতে আসর পর সন্ধ্যার পরে পীড়ারবাড়ি বাজারের দোকানে বসে আমার ব্যবসায় সাহায্য করে। বেশ কিছুদিন আগে থেকে পরিমল মল্লিক তার পরিচয় গোপন করে ফোনে আমার কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে পরিমল ও কালু আমার মেয়ের মুখ বেঁধে টেনে হেচড়ে পুকুর পাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

এসময় কৌশলে আমার বড় মেয়েকে ফোন দিয়ে ঘটনার কথা জানাতেই ওরা ফোন কেড়ে নেয় ও মারপিট করে। সেখানে অজ্ঞান হয়ে গেলে ফেলে রেখে বখাটেরা পালিয়ে যায়। পরে আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। পরে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট
জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কীর্ত্তণ শিল্পীর মা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে পরিমল ও কালু ধর্ষণ করেছে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে ভবিষ্যতে আর কোন মেয়ে ধর্ষণের শিকার না হয়। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ অসিত কুমার মল্লিক জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আলামত সংগ্রহ করে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষা শেষেই বলা যাবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না।

কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুল ফারুক বলেছেন, এমন একটি ঘটনার বিষয় আমি শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ নিয়ে আসলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিবিএ/জেডআই

 

 

আরও পড়ুন...