প্লে-অফে উঠতে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ২০১ রান

প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়ে এক প্রকার নকআউট ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেরা চারে যেতে চেন্নাইয়ের দরকার হার এড়ানো। বৃষ্টিতে খেলা পরিত্যাক্ত হলেও প্লে-অফে যাবে তারা। বিপরীতে বেঙ্গালুরুকে জয় পেতে হবে হিসাব মিলিয়ে। সেই হিসাবের চার্টও পেয়ে গেছেন বিরাট কোহলি-ফাফ ডু প্লেসিরা।

ঘরের মাঠ চিন্নাস্বামীতে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু পেয়েছে ২১৮ রানের বড় পুঁজি। প্লে-অফে যেতে হলে এখন তাদের জয় দরকার ১৮ রানের ব্যবধানে। অর্থাৎ রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই ২০১ রান করতে পারলে বিদায় হবে কোহলিদের। আর প্লে-অফে চলে যাবে ধোনি-গায়কোয়াড়ের চেন্নাই সুপার কিংস।

চেন্নাইয়ের চিন্নাস্বামীতে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিলেন বিরাট কোহলি। বড় লক্ষ্যের কথা মাথায় রেখেই খেলেছেন একের পর এক বিগ শট। প্রথম তিন ওভারেই উঠেছে ৩১ রান। এরপর বৃষ্টি এসে বাঁধা দেয় খেলায়। তবে তাতে ওভার কাঁটা যায়নি।

বৃষ্টির পরেও নিজের আগ্রাসী ব্যাটিংই চালিয়ে গিয়েছেন কোহলি। স্ট্রাইকরেট নিয়ে চলা সমালোচনার জবাব দিলেন পরিস্থিতি অনুযায়ী আগ্রাসী এক ইনিংস খেলে। ২৯ বলেই অবশ্য থামে তার ইনিংস। করেছেন ৪৭ রান। সবচেয়ে বড় কথা, দলের বড় সংগ্রহের ভিত করে দিয়েছেন আজ। ফাফ ডু প্লেসিও খুব একটা ধীরগতি ছিলেন না। তবে কোহলির বিপরীতে খানিক ম্লানই ছিল তার ইনিংস।

কোহলি না পারলেও বেঙ্গালুরু অধিনায়ক পেয়ে যান ফিফটি। সেটাকে যদিও টেনে বড় করা হয়নি। ৩৯ বলে ৫৪ করে থামে তার ইনিংস। ক্যামেরন গ্রিন এবং রজত পতিদার এরপর খেলেছেন দুর্দান্ত দুই ইনিংস। রানের অঙ্কে বড় না হলেও দলের স্কোরের চাকা ঘুরিয়েছে তাদের ওই দুই ক্যামিও। ২৩ বলে ৪১ রজতের। আর ১৭ বলে ৩৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন গ্রিন।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর দীনেশ কার্তিকও খেলেছেন ২০০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। তাতেই বেঙ্গালুরু পেয়ে যায় ২১৮ রানের বড়সড় এক পুঁজি।

আরও পড়ুন...