ফণীর আঘাতে চাঁদপুরে ঘর বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি

পিবিএ, চাঁদপুর: চাঁদপুর সদর, হাইমচর ও মতলব উত্তর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (৪ মে) আনুমানিক ভোর সাড়ে ৩টার পর থেকে চাঁদপুরের ওপর দিয়ে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে সারাদিন অতিবাহিত হয়েছে। এতে জেলার এই তিন উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রাম ও চরাচঞ্চেলের অসংখ্য কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়,গাছ-পালা উপরে পড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। কৃষকের আবাদ করা উঠতি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো হাতহতের খবর পাওয়া যায়নি।

তবে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় এখন পর্যন্ত ১শ’ ২২ টি বসতঘর ভেঙ্গে ল-ভন্ড হয়েছে। চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, শুক্রবার দিনগত ভোর সাড়ে ৩টার সময় চাঁদপুরের আঘাত হাতে ঘূর্ণিঝর ফেণী। এতে সদর উপজেলার রাজরাজেশ্ব ইউনিয়নে ৬৫ টি, মতলব উত্তরে ৫০টি, এবং হাইমচরের ১৬টির মতো বসতঘর ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা তৈরী হলেই আমরা তাদের সরকারের সহায়তা পৌঁছে দিবো। এসব সহায়তার মধ্যে রয়েছে নগদ অর্থ এবং টিন। এছাড়াও আমরা ইতিমধ্যেই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে চাঁদপুর সদর সহ ৪ উপজেলায় নির্বাহী কর্মকতার মাধ্যমে ১০টন করে চাল এবং ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে রেখেছি। যাতে করে ওইসব এলাকায় আশ্রয়ন কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় গ্রহণকারিদের তাৎক্ষনাত সহায়তা করা যায়।

এদিকে চাঁদপুরে শুক্রবার রাত ৩টার পর থেকে প্রচন্ড গতিতে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে বাতাসের গতি কমেনি, ফলে উত্তাল রয়েছে পদ্ম-মেঘনা নদী। শুক্রবার বিকেল থেকে চরাঞ্চলের সাড়ে ৫হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।

এছাড়াও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে, বৃহস্পতিবার থেকে চাঁদপুর-ঢাকা নৌ রুটের লঞ্চসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে বন্ধ রয়েছে চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি চলাচলও। অপরদিকে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার হরিসভা পয়েন্টের ঝুঁকিপূর্ণস্থানে ফেলার জন্য প্রায় ৪০ হাজার বালুবস্তা রেডি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানিয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আলী মাঝি।

পিবিএ/এম/হক

আরও পড়ুন...