ফরিদপুরে পিকআপ চালক হত্যা মামলায় ৭ জনের ফাঁসির আদেশ

পিবিএ,ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পিকআপ চালক কেরামত হাওলাদার (৩৫) হত্যা মামলার রায়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: সেলিম মিয়া।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে সাত আসামীর মধ্যে পাঁচজনের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রামাণিত হওয়ায় রায়ে আসামীদের সাতজনকেই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- তোফা মোল্যা (২৬), পিতা মৃত আব্দুল মোল্যা; পলাশ ফকির (৩২), পিতা আব্দুল মান্নান ফকির; সিদ্দিক খালাসি (৩৬), পিতা সামছুল হক খালাসি; এরশাদ মাতুব্বর (৩২), পিতা আব্দুল মালেক মাতুব্বর; সুরুজ ওরফে সিরাজুল খাঁ (২৭), পিতা মৃত মোসলেম; নাইম মাতুব্বর (৩৫), পিতা মৃত আব্দুল মালেক মাতুব্বর; আনু মোল্যা ওরফে আনোয়ার মোল্যা (২৮), পিতা গিয়াস উদ্দিন মোল্যা। এদের সকলের বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলা চান্দ্রা গ্রামে। এদের মধ্যে নাইম মাতুব্বর ও সুরুজ ওরফে সিরাজুল পলাতক রয়েছে।

আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) দুলাল চন্দ্র সরকার জানান, ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার উত্তর লোহারদিয়া গ্রামের পিকআপ চালক কেরামত হাওলাদার নিখোঁজ হন।

পরদিন ভোরে ছলিলদিয়া দিঘলকান্দা বিলের ভেতর থেকে কেরামতের গলা ও পেট কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর নিহতের ভাই ইকরাম হাওলাদার বাদি হয়ে ভাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে তোফা মোল্লাকে আটক করলে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী বাকি আসামিদের পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।

পিবিএ/ইকে

আরও পড়ুন...