আজকের কিশোরই আগামী দিনের সুন্দর ভবিষ্যৎ। সেই ভবিষ্যত কিশোরদের জীবন কিছু মানুষের সামান্য ভুলে অন্ধকারাচ্ছন্ন হতে পারে।
কুড়িগ্রামের চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ১১ শিক্ষার্থীর ফলাফল বিরম্বনা তেমনি একটি ঘটনা। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে এখানো তাদের ফলাফল পায়নি।
জানা গেছে, অধ্যক্ষ একরামুল হক বিক্রম ভুলবশত ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট ট্রেনিং এর ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বারপত্র বোর্ডে না পাঠানোর কারনে এমন ঘটনার সূত্রপাত।
তার চেয়েও বড় কথা শিক্ষার্থীদের তিনি (অধ্যক্ষ) এই দুইবছর যাবৎই নানান টালবাহানায় ঘুড়িয়েছেন। কাজের কাজ সমাধানের কিছুই করেননি।
গত বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
যেহেতু শেষপর্যন্ত প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সমাধান হয়ত হবে। তারপরও কথা থেকে যায়। শিক্ষার্থীদের এই মানসিক বিরম্বনার দায় কি অধ্যক্ষ নিবেন। জীবনের শুরুতেই ওই শিক্ষাথী দেখলো কর্তব্য অবহেলার নজির।
শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলবো এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে জন্য অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
যতদ্রুত সম্ভব ওইসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।
পিবিএ/শতাব্দী আলম