পিবিএ,ঢাকা: সিটি করপোরেশন নির্ধারিত স্থানে পশু এনে কোরবানি দেওয়ার আহ্বানে খুব একটা সাড়া মেলেনি নগরবাসীর। রাজধানীর বাসিন্দাদের বেশিরভাগকেই নিজেদের বাড়ির সামনে অথবা সামনের রাস্তায় অথবা মাঠে কোরবানি দিতে দেখা যায়। ফাঁকাই পড়ে আছে কোরবানির নির্ধারিত স্থানগুলো।
সোমবার (১২ আগস্ট) দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ-উল-আজহা। ত্যাগের মহিমায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে পশু কোরবানি দিচ্ছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। এসময় রাজধানীতে স্বাভাবিক সময়ের থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি বর্জ্য উৎপন্ন হয় যা পরিষ্কারে প্রতিবারই বেগ পেতে হয় দুই সিটি করপোরেশন কে। বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়া সহজ করতে বিগত কয়েক বছরের মো এবারও সবগুলো ওয়ার্ডে কিছু স্থান নির্ধারণ করে দেয় ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
এবার ডিএনসিসি র ৫৪টি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে মোট ২৭০টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। আর ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে নির্ধারিত ছিল ৩৭৫টি স্থান। এসব স্থানে পশু নিয়ে এসে কোরবানি দিতে নগরবাসীদের প্রতি আহ্বান ছিল দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। এমনকী উত্তরের নগরবাসীদের পশু জবাইয়ের স্থান থেকে বাড়িতে বাড়িতে বিনামূল্যে মাংস পৌঁছে দেওয়ারও ঘোষণা দেয় ডিএনসিসি। উত্তরের বাসিন্দাদের উদ্বুদ্ধ করতে নির্ধারিত স্থানে এনে পশু কোরবানি দেন খোদ মেয়র আতিকুল ইসলাম।
যান চলাচলের সড়কে দেওয়া হচ্ছে কোরবানিতবে সোমবার সকাল থেকে দুই সিটির বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানের তুলনায় বাসাবাড়ির সামনে কিংবা সড়কেই কোরবানি বেশি দিতে দেখা যায়। আর নির্ধারিত স্থানগুলোকে বেশ ফাঁকা অবস্থায়ই দেখা যায়। এমন অনেক নির্ধারিত স্থান রয়েছে যেখানে প্যান্ডেল করে নির্দেশনা লেখা থাকলেও একটি পশুও কোরবানি দেয়নি কেউ।
নির্ধারিত স্থান এডিয়ে কোরবানি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে অনেকেই নিজেদের বাড়ি থেকে সেসব স্থান দূরে হওয়াকে দায়ী করেন। অনেকেই আবার মাংস পরিবহনের ঝামেলা এড়াতে ও সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখতে না পারায় নিজেরাই নিজেদের মতো করে কোরবানি দিচ্ছেন।
ডিএনসিসির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, পল্লবী মডেল স্কুলের পাশের সড়কে প্যান্ডেল দিয়ে নির্ধারিত স্থান দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে মাত্র একটি পশু কোরবানির জন্য আনা হয়। এখানে দুই রোড পরে অত্র এলাকার বাসিন্দা হাফিজ আহমেদকে দেখা যায় বাসার সামনেই কোরবানি দিতে।
সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে না গিয়ে এখানে কেন কোরবানি দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে কোরবানি দিলে মাংস আনা নেওয়ায় একটা ঝামেলা। বসার চেয়ার নেই আর এখানে নিজের বাসার সামনে নিজেদের চেয়ারে বসে আছি। আর সিটি করপোরেশন কখন আমার মাংস দিয়ে যাবে কে জানে। তাই এখানেই ভালো।
কিন্তু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এমন বিষয়ে হাফিজ আহমদ বলেন, আমরা পরিষ্কার করে দেবো।
তবে নগরবাসীর প্রতি এখনও আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে সিটি করপোরেশন। ডিএনসিসির ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি স্থানে প্রায় ৫০টি পশু জবাই ও মাংস কাটা যাবে। এখানে এনে পশু জবাই করলে আমাদের কাজ সহজ হয়, শহরও পরিষ্কার থাকে। তাই আমরা এখনও বলব যেন তারা তাদের পশু এখানে এনে জবাই করেন।
পিবিএ/বাখ