পিবিএ,ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ভবনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা তুহিন ফারাবীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. আলাউদ্দিন সোমবার সকাল ১০টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, ফারাবীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তিনি চোখ খুলে তাকিয়েছেন। তাকে এখনও লাইফসাপোর্টে রাখা হয়েছে। এই শিক্ষার্থীকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান সোমবার জানান, সকাল ৮টার দিকে তুহিন ফারাবী চোখ মেলেছিলেন। কিছুক্ষণ পর আবার চোখ বন্ধ করেন। ভিপি নুরের অবস্থার বর্ণনায় তিনি জানান, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরের অবস্থা আগের মতোই আছে।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া সকাল পৌনে ৮টার দিকে গণমাধ্যমকে জানান, ফারাবীর শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে পরে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয় বলে জানান বাচ্চু।
আহত ফারাবী সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। রোববারের হামলার সময় তিনি ভিপি নুরের সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোববার ভিপি নুরুল হককে তার ডাকসুর কক্ষে ঢুকে বাতি নিভিয়ে পেটান মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ভিপি নুরসহ আহতদের অভিযোগ ছাত্রলীগ এ হামলায় সরাসরি অংশ নেয়।
এ সময় নুরের সঙ্গে থাকা ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ৩০ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়। দুজনকে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাত পর্যন্ত ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুই দফায় নুরুল হক ও তার সহযোগীদের রড, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়। প্রথম দফায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে তাদের পেটান।
এর পর ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক (ডাকসুর এজিএস) সাদ্দাম হুসাইন ঘটনাস্থলে আসেন। তাদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় হামলা ও মারধর করা হয়। এ সময় ডাকসু ভবনেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী।
পিবিএ/বিএইচ