সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা পোড়ানো এবং কলকাতার উপ-হাইকমিশনের সামনে প্রতিনিয়ত বিক্ষোভ, পতাকায় আগুন ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপত্তলিকা দাহের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দুই মিশন প্রধানকে ঢাকায় ডেকে আনা হয়েছে। মুম্বই, চেন্নাই এবং আসামসহ ভারতের অন্য অঞ্চলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখানো হলেও ওই অঞ্চলগুলোতে থাকা বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের ডাকা হবে কিনা তা এখানো ঠিক হয়নি।
তবে পরিস্থিতি বেগতিক হলে অন্য মিশন প্রধানদেরও ডাকা হবে এবং পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে তাদের রিপোর্ট যথেষ্ট গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন সেগুনবাগিচা। এমনো আলোচনা আছে যে, আগামী সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক এবং আসন্ন দিনগুলোর হাওয়া পর্যবেক্ষণের ডেকে আনা দূতদের ঢাকায় অবস্থান প্রলম্বিত হতে পারে।
সূত্র মতে, কলকাতায় বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার শিকদার মো. আশরাফুর রহমান এরইমধ্যে ঢাকায় রিপোর্ট করেছেন। ত্রিপুরার সহকারী হাইকমিশনার আরিফুর রহমান পৌঁছাবেন শিগগির। যেটুকু জানা গেছে, স্ত্রী-সন্তানের আচমকা অসুস্থতায় তিনি ফেরার জন্য খানিকটা সময় প্রার্থনা করেছেন। মানবিক কারণে মৌখিকভাবে তাকে সময়ও দেয়া হয়েছে।
সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার কলকাতা থেকে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত উপ-হাইকমিশনার শিকদার মো. আশরাফুর রহমান ঢাকা এসেই পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দেখা করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন স্তরে ব্রিফ করেছেন।
প্রসঙ্গত গত ২রা ডিসেম্বর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকরা আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালান। হিন্দু সংঘ সমিতি হলো ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন।
আগরতলার মিশনটি আক্রান্ত হওয়ার একদিন পর নিরাপত্তাহীনতাজনিত অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। কলকাতা মিশনের আশপাশে প্রায়শই বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রথমদিকে বিক্ষোভকারীরা ফটকেই চলে এসেছিল। সেদিনই তারা পতাকা পোড়ায় এবং উপদেষ্টার কুশপত্তলিকা দাহ করে। অবশ্য এখন পুলিশ তাদের মিশন থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হচ্ছে।