পিবিএ,বিনোদন : পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের শহর রায়গঞ্জের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়ও। ওই ঘটনায় গত মঙ্গলবার ভারতে ফেরদৌসকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করার কথা জানায় দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে তাঁকে ভারত ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। এই ঘটনায় উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ঢাকার বেশ কয়েকজন অভিনয় শিল্পী।
অভিনেত্রী জয়া আহসান তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকে আমার কাছে অনেকে মেসেজ পাঠিয়েছেন। এসব মেসেজে তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে। আমি এই মুহূর্তে ঢাকায় কাজ করছি।
জয়া বলেন, আমি একজন বাংলাদেশি। আমি বাংলায় কাজ করি কারণ আমার মনে হয় সেখানকার মিল্মে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ রয়েছে। ভারতের প্রতি আমার অনেক ভালোবাসা রয়েছে। সেদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমিদের কাছ থেকে আমি অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। সাংস্কৃতিক বিনিময়ের ভেতর দিয়ে দুই দেশকে কাছাকাছি নিয়ে আসা একজন শিল্পীর দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে। আমার মূল ফোকাসও ঠিক তাই।
ফেরদৌস প্রসঙ্গে জয়া বলেন, কেউই চায় না কোনো বিদেশি নাগরিক দেশীয় রাজনীতিতে জড়াক। একইভাবে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের উচিত নয় ভারতীয় রাজনীতিতে জড়ানো। অভিনয় ছাড়া অন্য কিছুই আমাকে আকর্ষণ করে না এবং এভাবেই আমি কাজ করতে চাই।’
জয়া বর্তমানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল গোল্ড কাপ-এর প্রচার নিয়ে। তিনি এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। আগামী মে মাসে টালিউডে তাঁর একটি ছবি মুক্তি পাচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই ভারতে আসছেন তিনি।
এদিকে, কলকাতার বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত ‘বিবাহ অভিযান’ ছবিতে মিমি চক্রবর্তীর স্থানে নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের নুসরাত ফারিয়াকে। বর্তমানে তিনি ঢাকায়। ফেরদৌসের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি সচেতন। যেহেতু আমরা অন্য দেশ থেকে এখানে এসেছি। আমাদের উচিত এই দেশের আইন মেনে চলা।’
নুসরাত বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখজনক। ফেরদৌস আমার পরিবারিক বন্ধু। যদি তিনি কোনো প্রচারণায় অংশ নিয়ে থাকেন, তবে এটি নিশ্চিত, তিনি তাঁর আবেগের জায়গা থেকে এটি করেছেন। আমরা ভারতে আসি অন্য দেশ থেকে। সুতরাং, এই দেশের আইন মেনে চলতে হবে।
বাংলাদেশের আরেক অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ভারতীয় ছবি শ্রীজিৎ মুখার্জির ‘ইয়েতি অভিযান’-এ সর্বশেষ দেখা যায় তাঁকে। ফেরদৌস’র ঘটনা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তিনিও।
মিম বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ফেরদৌসের আত্মিক সম্পর্ক। ফেরদৌস ভাইয়াকে আমি অনেক দিন ধরে জানি। তিনি সত্যিই পশ্চিমবঙ্গকে ভালোবাসেন। তিনি যা করেছেন তা ওই ভালোবাসার পরিচয় বহন করে না। আমরা বাংলাদেশিরা যদি এদেশে ৫% ভালোবাসা পাই, তবে আমরা ফিরিয়ে দিই ৫০০%।
মিম আরো বলেন, এই দেশের (ভারত) আইনের সঙ্গেও ভালোভাবে পরিচিতি থাকা দরকার। আইন অনুযায়ী যদি এই দেশের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে অন্য দেশের নাগরিক অংশ নিতে না পারেন, তবে তাকে সম্মান জানাতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে গেছেন ফেরদৌস।
পিবিএ/এমএস