ফের সাধারণ ছুটির আলোচনা হচ্ছে। এতে লাভের চাইতে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী। কারন ঈদের ছুটি শেষে লোকজন দলবেধে কর্মস্থলে ফিরেছে। এখন সাধারণ ছুটি হলেই ফের নিজ নিজ গ্রাম বা বাড়িতে ফিরতে উদ্যত হবে। এতে করে সংক্রমণের ঝুকি বাড়বে বৈ কমবে না।
করোনার প্রার্দূভাব ইতিমধ্যে ৬ মাস পার করেছে। এটা আরো দীর্ঘ মেয়াদী হবে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার এমনই আভাস। আমাদের মত দারিদ্রপিড়িত দেশে এই দীঘ সময় লাকডাউন বা সাধারণ ছুটির ধকল সামলানোর মত ক্ষমতা আছে কি ?
সর্তকতা এবং সচেতনতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে রাখার সরকারি সিদ্ধান্তই সঠিক।
তাছাড়া সংক্রমণ বিবেচনায় রেড, ইয়েলো এবং গ্রীন জোন ধরনাটি সময়োপযোগী এবং অধিক কার্যকরী হতে পারে। রেড জোন এলাকাকে পৃথকভাবে লকডাউন রাখতে হবে। প্রয়োজনে সেখানে লাকডাউন কার্যকরে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
সংক্রমণ বিশ্লেষনে দেখা যাচ্ছে, ঈদ ছুটির গমনাগমনে সংক্রমণ বেশী ছড়িয়েছে। ১৫ দিনের ব্যবধানে যা প্রতিদিন প্রকাশ পাচ্ছে।
তাই ফের সাধারণ ছুটি একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। কারন সাধারণ মানুষের মাঝে ছুটি শুনলেই ছোটাছুটির একটা অভ্যাস দেখা যাচ্ছে। সরকারি কোন বিধিনিষেধই তারা শুনে না। পায় হেটে গেলেও যাবে। তাই স্ব স্ব স্থানে রাখার মাধ্যমে যা কিছু করার করতে হবে।
জনসাধারণের জানমাল রক্ষার তাগিদেই সরকার সাধারণ ছুটি দিচ্ছে। মানুষ অন্য উৎসব ছুটির মত উপভোগে মাতে।
অথচ ‘সাধারণ ছুটি’ শব্দটি ঘোষণার সাথে সাথে সংক্রমণ বিস্তার করছে। তাই ফের সাধারণ ছুটি না দিয়েও কিভাবে সংক্রমণ ঝুকি এড়ানো যায় সেই চিন্তা করতে হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেমনটি করা হচ্ছে।
পিবিএ/শতাব্দী আলম