পিবিএ,ঢাকা: দ্বিতীয় দিনের মত রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। ৫ দফা দাবিতে লাগাতার মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে দুপুরে তারা রাজপথ ছাড়েন। এদিকে ঢাকা কলেজের সামনে আমরণ অনশনে বসেছেন তিন শিক্ষার্থী।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টার আগে ঢাকা কলেজের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন তারা। পরে তারা নীলক্ষেত মোড়ে এসে সড়কের ওপর বসে পড়েন। ফলে ওই পথে চলাচলকারী সব ধরনের যান বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘গণহারে আর ফেল নয়, যথাযথ রেজাল্ট চাই’, ‘শিক্ষা কোনো পণ্য নয়, শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা নয়’, ‘গণহারে ফেল, ঢাবি তোমার খেল’, ‘বন্ধ করো অনাচার, সাত কলেজের আবদার’, ‘নিচ্ছ টাকা দিচ্ছ বাঁশ, সময় শেষে সর্বনাশ’- এ ধরনের স্লোগান ছাড়াও এই লেখা সংবলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
কর্মসূচি চলাকালে তারা ঢাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে সময় মতো পরীক্ষা না নেয়া, ফল প্রকাশে ৭-৮ মাস বিলম্ব, বিনা নোটিশে নতুন নতুন নিয়ম কার্যকর, একই বিষয়ে গণহারে ফেল, খাতার সঠিক মূল্যায়ন না হওয়া এবং সিলেবাসবহির্ভূত প্রশ্নপদ্ধতি প্রণয়নের অভিযোগ করেন। একপর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শান্ত করতে ঢাবির সহকারী প্রক্টর আবদুর রহিম ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হচ্ছে- পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফল প্রকাশসহ একটি বর্ষের সব বিভাগের ফল একসঙ্গে প্রকাশ; ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্সের ফলাফলে গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনঃমূল্যায়ন; ৭ কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন; প্রতি মাসে প্রতিটি কলেজে প্রত্যেক বিভাগে দু’দিন করে ১৪ দিন ঢাবির শিক্ষকদের ক্লাস নেয়া এবং সেশনজট নিরসনে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করা।
অপরদিকে, একই দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ঢাকা কলেজের তিন শিক্ষার্থী। দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা কলেজের গেটের সামনে অনশন শুরু করেন তারা। শিক্ষার্থীরা হলেন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের ছাত্র আবু নোমান রুমি, ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের মো. সাকিব, ২০১৭-১৮ সেশনের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম। তারা জানান, পাঁচ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আমরণ অনশন চলবে।
পিবিএ/এফএস