পিবিএ ডেস্ক: ফ্লাইট ছাড়ার বাকি আর মাত্র কয়েক মিনিট, অথচ আপনার সামনে নিরাপত্তা চেকিংয়ের দীর্ঘ লাইন। তাও আবার এগুচ্ছে ধীর গতিতে। ফ্লাইট মিস করার চিন্তা মাথায় আসতেই যদি মেরুদণ্ড দিয়ে হিমশীতল ঘামের স্রোত টের পান, তাহলে আপনার জন্যই এই লেখাটি।
প্রথমেই জেনে রাখুন বেশিরভাগ এয়ারলাইন্সেই এমন পরিস্থিতির জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা আছে। তবে মনে রাখবেন, কত সহজে আপনি পরবর্তী ফ্লাইটে আসন (‘রিবুক’) পাবেন এবং তার জন্য আপনাকে বাড়তি অর্থ খরচ করতে হবে কি না, সেটি নির্ভর করবে আপনি বিমানবন্দরে কত দেরিতে পৌঁছেছেন কিংবা আপনার বিলম্বের কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন কি না তার ওপর। ফ্লাইট মিস করলে করণীয় বিষয়ে পরামর্শ :
দ্রুত একজন এয়ারলাইন এজেন্টের সঙ্গে কথা বলুন
যদি বুঝতে পারেন বিমানবন্দরে পৌঁছাতে আপনার দেরি হয়ে যাচ্ছে, তাহলে সেটি দ্রুত ওই এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষকে জানান। তাহলে তারা হয়তো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর আগেই আপনার জন্য টিকেট ‘রিবুক’ করে রাখতে পারবে। আর যদি বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়ে থাকেন, তাহলে দেরি না করে কোনো এয়ারলাইন এজেন্টকে বিষয়টি জানান।
যাত্রীদের ফ্লাইট মিস করাকে এয়ারলাইনের ভাষায় বলা হয় ‘ফ্ল্যাট টায়ার’। সাধারণত এসব ফ্ল্যাট টায়ার-সংক্রান্ত ঘটনার ক্ষেত্রে ভূক্তভোগী যাত্রী বাড়তি কোনো খরচ ছাড়াই পরবর্তী ফ্লাইটে আসন পেয়ে যান। তবে তার জন্য আপনাকে ওই মিস করা ফ্লাইট ছাড়ার পরবর্তী দুই ঘন্টা বা তার আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হবে।
তবে, বেশিরভাগ এয়ারলাইনই এই ‘ফ্ল্যাট টায়ার’ নিয়মটি তাদের ভ্রমণ নির্দেশিকায় লিখিতভাবে উল্লেখ করে না। ব্যবসার খাতিরেই বাড়তি খরচ ছাড়া এমন ফ্লাইট বদলের বিষয়টি তারা বাইরে প্রচার করে না। তাই, ‘ফ্ল্যাট টায়ার’ সুবিধাটি পেতে গেলে আপনাকে একটু কৌশলী হতে হবে। কারণ এসব ক্ষেত্রে আপনার টিকেট রি-বুকিংয়ের বিষয়টি নির্ভর করে নিজের পরিস্থিতি আপনি কতটা ভালোভাবে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন এজেন্টকে বোঝাতে পারছেন তার ওপর। কোনো এজেন্ট হয়তো আপনার প্রতি সহানুভূতিশীল হবে, আবার কেউ হয়তো কোনো ছাড়ই দেবে না। তাই ভদ্রভাবে এজেন্টকে আপনার সমস্যার কথা বুঝিয়ে বলুন। প্রচণ্ড যানজটের কারণে যদি ফ্লাইট মিস করেন, সেটি এজেন্টকে বলুন।
পিবিএ/আরআই