পিবিএ,শেরপুর(বগুড়া): বগুড়ার শেরপুরের উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম হানুর ছেলে ঝাঁজর কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)। প্রায় ৩ বছর আগে সিএইচসিপিদের দাবি আদায়ের জন্য ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্দোলনে নের্তৃত্ব দেয়ার কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন সিবিএইচসি’র লাইন ডাইরেক্টর। বরখাস্ত করার ৩২ মাস অতিক্রম হলেও কোন সুরহা হয়নি। এতে করে মানবেতর জীবন যাপন করছে তিনি।
বাবার চাকরী ফিরিয়ে দিতে আকুতি জানিয়েছে তার মেয়েরা। জানা যায়, উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাঁজর কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) আফাজ উদ্দিন লিটন সিএইচসিপি এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ডাকে তাদের চাকরী রাজস্ব করার দাবিতে গত ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসের ২৭ তারিখে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের বাংলাদেশের সাড়ে ১৪ হাজার সিএইচসিপিরা সেই আন্দোলনে অংশ নেয়। ওই আন্দোলনে নের্তৃত্ব দেয়ার অপরাধে আফাজ উদ্দিন লিটনকে ফেব্রুয়ারী মাসের ৩ তারিখে সাময়িক বরখাস্ত করেন প্রকল্প কর্মকর্তা। ওই মাসের ১২ তারিখে লিখিত জবাব দাখিল করে ক্ষমা চাওয়ার পর ওই বছরের এপ্রিল মাসের ৭ তারিখে সরাসরি তদন্ত কমিটির কাছে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা চায় তারপরেও সমাধান না হওয়ায় ১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মাদ নাসিমের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাঁর সুপারিশ করা আবেদন প্রথমে লাইন ডাইরেক্টর আবুল হাসেম পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদের কাছে জমা দিলে অতিদ্রুত সমাধান করে দিবেন বলে তারা আস্বস্ত করেন। কিন্তু আজ ৩২ মাসেও এর কোন সমাধান না হওয়ায় খামারকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আফাজ উদ্দিন লিটন আজ অবধি তিন মেয়ে এক স্ত্রী নিয়ে প্রায় ৩ বছর যাবৎ মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তবে তার ৩ মেয়ের আকুতি আমার বাবার চাকরী ফিরিয়ে দিন। আমরা খুব কষ্টে আছি।এ ব্যাপারে আফাজ উদ্দিন লিটন বলেন, আমি প্রায় ২ বাছর হলো কোমড়ের জটিল রোগে ভুগছি। চাকরী না থাকায় ভাল চিকিৎসা নিতে পারছিনা। তাছাড়া মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ জোগাতে হিমিশিম খাচ্ছি। এতে তাদের পড়া লেখার বিঘ্ন ঘটছে। আর কতদিন এভাবে চাকরী বিহীন থাকতে হবে তাও জানিনা। আমি সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাই। আমার রুজি রোজগারের একমাত্র অবলম্বন আমার চাকরী যেন দ্রুত ফিরিয়ে দেন।
পিবিএ/আবু বকর সিদ্দিক/এসডি