পিবিএ,বগুড়া: বগুড়ার নন্দীগ্রামে শশুর বাড়ীতে স্ত্রীকে আনতে গিয়ে খুন হলেন জামাই আরব আলী (৪৫)। রবিবার সকালে নিহত আরব আলীর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। নিহতের ঘটনায় আরব আলীর পিতা মোবারক আলী চারজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত আরব আলীর চাচাতো ভাই মো: মিলন জানান, বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুল গ্রামের ছেলে আরব আলী দেড় বছর আগে একই গ্রামের মর্জিনা বেগমকে (৩৬) বিয়ে করেন। এই বিয়ের আগে মর্জিনা আরো দুটি বিয়ে করে। আরব আলীর ছিল দ্বিতীয় বিয়ে এবং মর্জিনার ছিল তৃতীয় বিয়ে। বেশ কয়েকদিন আগে আরব আলীর সঙ্গে সংসার করাকালে মর্জিনা তার স্বামীকে কোন কিছু না বলে চলে যায়। গত ৯ ফেব্রুয়ারি মর্জিনা তার মায়ের বাড়ি উপজেলার বিজরুল গ্রামে বেড়াতে আসে। খবর পেয়ে আরব আলী স্ত্রীকে আনতে শশুর বাড়ি যায়। এসময় মর্জিনা জানায়, আরব আলীকে স্বামী তালাকদিয়েছে।
স্বামী তালাক করা নিয়ে আরব আলীর সাথে মর্জিনার বাকবিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মর্জিনার আরেক পক্ষের ছেলে ময়নুল ইসলাম মধু (১৫) লাঠি নিয়ে হামলা করে। হামলায় আরব আলী আহত হয়। স্থানীয় লোকজন আরব আলীকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল ১০ টার দিকে তিনি মারা যান।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার এসআই মনোয়ার হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকেই মর্জিনা, তার মা জরিনা বেগম ও ছেলে ময়নুল পলাতক রয়েছে। আরব আলীর মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, হত্যার ঘটনায় থানায় চারজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পিবিএ/এইচ এ/হক