শাহ্ মোঃ রেজাউল করিম,পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানুষের জন্য আজীবন কাজ করেছেন। ব্যক্তিগত চাওয়া- পাওয়া, ক্ষমতায় যাওয়ার আগ্রহ বঙ্গবন্ধুর ছিল না। তিনি পূর্ব বাংলার নির্যাতিত, অবহেলিত, শোষিত- বঞ্চিত জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে রাজনীতি করে গেছেন। স্পীকার বলেন, বঙ্গবন্ধু সপরিবারে বাংলার জন্য জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।
তিনি আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে, এম, আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেপুটি স্পীকার মো: শামসুল হক টুকু এমপি, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি বক্তব্য প্রদান করেন।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর পিতার আদর্শ ও দর্শন ধারণ করে বাংলার জনমানুষের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন। তিনি বলেন, ১৫ আগস্টে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের খুনীদের কোন ক্ষমা নেই। দেশের প্রচলিত আইনে ১৫ আগস্টে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের খুনীদের বিচার করার সুযোগ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
স্পীকার আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রতিটি ঘটনার সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছেন। নতুন প্রজন্ম জাতির পিতাকে নিয়ে রচিত গ্রন্থসমূহ পড়ে তাঁর আদর্শকে ধারন ও চর্চার মাধ্যমে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।
সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি বলেন, বাঙালির জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান অতুলনীয়।তাঁর জন্যই আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি।
ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিদের লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতাকে বিলুপ্ত করা। তিনি বলেন, শোককে শক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে আমাদের বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, গবেষণার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের পূর্ণ তদন্ত করতে হবে। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত খুনী ও কুশিলবদের বিচারের দাবি জানান।
হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে চলেছেন। এসময় স্পীকার এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়কে ধন্যবাদ জানান।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫আগস্টের সকল শহীদের স্মরণে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদ ভবনস্থ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ ক্বারী মুফতি মোহাম্মদ আবু রায়হান।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের আইপি এ অধিশাখার পরিচালক সামিয়া রুবাইয়াত হোসাইনের সঞ্চালনায় এ শোকসভায় সরকারী হিসাব কমিটির সভাপতি রুস্তম আলী ফরাজী এমপি এবং সরকারী প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন এমপি উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের উজ্জ্বল, জাতীয় শোক দিবস আয়োজক কমিটি এর সদস্য সচিব আসিফ হাসান, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ফোরামের সভাপতি যুগ্মসচিব এ কে এম জি কিবরিয়া, আয়োজক কমিটির আহবায়ক বিএন্ডআইটির মহাপরিচালক এস, এম মঞ্জুর, জাতীয় শোক দিবস আয়োজক কমিটির সভাপতি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে,এম, আব্দুস সালাম এ আয়োজনে বক্তব্য প্রদান করেন।
সংসদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তাকর্মচারীবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।