
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে জাতীয় ঈদগাহ আসবেন না। তিনি বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ পড়বেন। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ পড়বেন।
রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই অনুযায়ী, আগামীকাল সোমবার সারা দেশে যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
রাষ্ট্রপতি সাধারণত জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করে থাকেন। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি বাইরের কোন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন না।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা কোথায় ঈদের নামাজ পড়বেন- জানতে চাইলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ পড়বেন। রাষ্ট্রপতি ঈদের নামাজ পড়বেন বঙ্গভবনে।’
তিনি বলেন, সভায় ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৬৪ জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, আজ রোববার বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এমতাবস্থায় আগামীকাল সোমবার সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
ঈদের দিন বিকেল ৪টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার তার কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উল্লেখ্য, এর আগে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বেশ কয়েকবার বঙ্গভবনে ঈদের নামাজ আদায় করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে দুই বছর জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত বন্ধ থাকে। ২০২৩ সালে সেই সিদ্ধান্ত শিথিল হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নেন।