বন বিভাগের অভিযানে ট্রলারসহ ৫ মণ হরিণের মাংস জব্দ

পিবিএ ডেস্ক: শনিবার (১৮ মে) ভোর রাত ৪টার দিকে বনবিভাগের চরলাঠিমারা বিটের কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান খান সোহাগের নেতৃত্বে বরগুনার পাথারঘাটা বনফুল আবাসন সংলগ্ন একটি ছোট খাল থেকে দুটি মাথা ও দুটি চামড়াসহ প্রায় ৫ মণ হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এ সময় হরিণ ধরার ফাঁদসহ একটি ছোট ট্রলার আটক করা হয়। জব্দকৃত ট্রলার কোস্টগার্ডের মাঝি মো. ইলিয়াসের বাবা আব্দুর রহমান সিকদারের।

ট্রলারসহ ৫ মণ হরিণের মাংস জব্দ
ট্রলারসহ ৫ মণ হরিণের মাংস জব্দ

বিট কর্মকর্তা জানান, বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী চরলাঠিমারা বনফুল আবাসন সংলগ্ন একটি ছোট খালে হরিণের মাংস নিয়ে অবস্থান করছিল, রাত সাড়ে ৩টার দিকে এলাকাবাসী টের পেয়ে ট্রলারের কাছে যাওয়া মাত্রই ট্রলারে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়।

পরে বনবিভাগের লোকজনকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাংস ও ট্রলার জব্দ করেলে তাৎক্ষণিকভাবে পাথরঘাটা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ও কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তাদের উপস্থিতিতে দুটি চামড়া, দুটি মাথা থাকলেও প্রায় ৫ মণ হরিণের মাংসসহ ৩০টি রান পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ৮টি জীবিত হরিণ জবাই করা হয়েছিল।

বিট কর্মকর্তা আরো জানান, কোস্টগার্ডের মাঝি মো. ইলিয়াসের বাবা আব্দুর রহমান সিকদার এলাকায় হরিণ পাচারকারী হিসেবে চিহ্নত। ওই ট্রলারটি আব্দুর রহমান সিকদারের বলে এলাকাবাসী নিশ্চিত করেছে। দুই বস্তা হরিণ ধরা ফাঁদসহ ট্রলারটি বনবিভাগের জিম্মায় রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিদের্শনা পেলে মাংসগুলো মাটি চাপা দেওয়া হবে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কর্মান্ডার সাবলেফটেন্যান্ট জহুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথেই আমরা সেখানে সরেজমিনে যাই। তিনি জানান, মাংসসহ জব্দকৃত ট্রলারটি কোস্টগার্ডের মাঝি ইলিয়াসের বাবা আব্দুর রহমান সিকদারের।

পিবিএ/আরআই

আরও পড়ুন...