পিবিএ, ঢাকা: রাজধানীর বনানী থানার ৩২ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ’র এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ ও মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় করা মামলায় মালিক পক্ষের দুজনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ।এদের মধ্যে একজন হলেন ভবনটির জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক(৬৫)।অন্যজন হলেন ভনটির বর্ধিতাংশের চারটি ফ্লোরের মালিক বিএনপি নেতা তাসবিরুল ইসলাম।তবে ভনটির ডেভলেপার কোম্পানি রূপায়ন গ্রুপের কাউকে এখনো আটক করার খবর পাওয়া যায়নি।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাত পৌনে ১১টার দিকে তাসবিরুলকে তার বারিধারার বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ।রাত ১১ টার দিকে তাসবিরুল ইসলামকে আটকের বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।অন্যদিক জমির মালিকানা সূত্রে ভবনের একটা বিরাট অংশের মালিক এস এম এইচ আই ফারুককে শনিবার দিনগত রাত দেড়টায় আটকের বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলাইন সিথিল।জমির মালিক ফারুক দেশের অন্যতম বৃহৎ ডেভেলপার কোম্পানি রূপায়ন গ্রুপের সাথে যৌথ মালিকানার ভিত্তিতে ভবনটি নির্মাণ করেন।
এর আগে শনিবারএফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করে।শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, পুলিশ বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি করেছে।এর আগে শুক্রবার এফআর টাওয়ারের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) জাবেদ পাটোয়ারী বলেছিলেন, ভুক্তভোগী কেউ যদি মামলা না করেন, তাহলে পুলিশ বাদী হয় মামলা করবে।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে ভবনটির ভূমি মালিক ইঞ্জিনিয়ার ফারুক ও রূপায়ন গ্রুপ যৌথভাবে নকশা অনুমোদনের জন্য আবেদন করে। তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য নকশা অনুমোদন দেয়। পরে ২০০১ সালে ভবনটিকে ২৩ তলা পর্যন্ত বর্ধিত করে নির্মাণ করা হয়।
ডেভেলপার কোম্পানি ভবনটির ২০ ও ২১তম তলাটি জাতীয় পার্টির প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য মাইদুল ইসলামের কাছে বিক্রি করে। মাইদুল ইসলামের কাছ থেকে ফ্লোর দু’টি কিনে নেন তাসবিরুল ইসলাম। এরপর তিনি নকশা পরিবর্তন করে ছাদের ওপর আরও দুটি ফ্লোর নির্মাণ করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৯মার্চ) ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৬ জন প্রাণ হারান। আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন অর্ধ শতাধিক মানুষ।
পিবিএ/এএইচ