পিবিএ, বরগুনা : বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালে সদ্য ঢাকা ফেরত দুইজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (১১ এপ্রিল) রাতে বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব হোসেন বিষয়টি জানায়।
আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার রায়ভোগ খাকবুনিয়া গ্রামে অন্যজন আঙ্গারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। দুইজনকেই বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদের মধ্যে ঢাকা ফেরত (৬০) বছর বয়সী ব্যক্তি ঢাকায় তাবলিগ জামায়াতে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বরগুনায় আসার পরে স্থানীয়রা তাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অন্যজন নারায়নগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে বরগুনায় এসেছিল।
বরগুনা সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, বরগুনা সদর হাসপাতালে দুইজন রোগী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৬০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। অন্যজন জ্বর-সর্দিকাশি নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য এলে তাদের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর তাদের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য পাঠানো হয়। টেস্টে তাদের দুই জনেরই করোনা পজিটিভ এসেছে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের বাড়িতে যেসব সদস্য রয়েছে তাদের প্রত্যেককে টেস্টের আওতায় আনা হবে।
অন্য দিকে বরগুনার বামনা উপজেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর (৬০) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় তিনি নিজ বাড়িতে মারা যান। গত পাঁচদিন ধরে ওই ব্যক্তি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
মৃত ব্যক্তি পেশায় ওষুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি উপজেলার রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা গ্রামের বাসিন্দা।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত পাঁচদিন ধরে তিনি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। তবে কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নেননি। অসুস্থ অবস্থাতেও তিনি নিয়মিত ওষুধের দোকানে বসতেন।
বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা সুলতানা জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই বাড়িসহ আশপাশের তিনটি বাড়ি লকডাউন রাখা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান, পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা লকডাউন যথানিয়মে পালন হয় কিনা তা দেখাশোনা করবেন।
পিবিএ/মো: সাগর আকন/মোআ