বরগুনা হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৮০ জন রোগী

পিবিএ,বরগুনা: আবহাওয়া পরিবর্তনে ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব একটু বেশী। অতিরিক্ত গরম, ফুট পয়জনিং এবং বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নারী, পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৮০ জন রোগী। সোমবার (১৩ মে) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে সরেজমিনে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে গেলে এমন তথ্য মেলে।

হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, (৬ মে থেকে ১৩ মে) দুপুর পর্যন্ত ৫৬০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।

বরগুনা পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের ফরমান আলী সড়কের বাসিন্দা মো. জাফরের দেড় বছরের মেয়ে জামিলাকে দু’দিন পূর্বে ভর্তি করেছেন। ফরমান বলেন, হাসপাতাল থেকে ইঞ্জেকশন, ওষুধ, স্যালাইনসহ সকল কিছু দিয়েছে। বাহির থেকে কিছু কিনিনি। আমার মেয়ে বর্তমানে মোটামুটি সুস্থ।

বরগুনা সদর উপজেলার ৬নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়ন থেকে আসা রোগী আয়শা জানান, সকালে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে এখানে হাসপাতালে ভর্তি হইছি। যেভাবে চিকিৎসা পাওয়ার কথা সেরকম পাচ্ছিনা। তাছাড়া বাহির থেকে ইঞ্জেকশন, ওষুধ কিনে চিকিৎসা নিচ্ছি।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স আঁখি আকরিতা জানান, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে মাত্র ১২টি বেড। পর্যাপ্ত বেড না থাকায় রোগীদের থাকার স্থান সংকট দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে বর্তমানে ইঞ্জেকশন সেফট্রিয়াক্সন (Ceftriaxone) এক গ্রাম নেই। যা বাহিরে দোকানে মূল্য ২০০ টাকা। তাছাড়া খাওয়ার স্যালাইন, এ্যান্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন হাসপাতাল থেকে সাপ্লাই দেয়া হয়। তবে রোগীর বেশী সমস্যা হলে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বাহির থেকে ওষুধ কিনে চিকিৎসা নিতে হয়।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের (আরএমও) তত্বাবধায়ক জানান, আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। বরগুনায় এসে শিগ্রই ইঞ্জেকশন সেফট্রিয়াক্সন (Ceftriaxone) এক গ্রাম আনার ব্যবস্থা করবো।

 

পিবিএ/এমএসএ/এমএসএম

আরও পড়ুন...