পিবিএ, ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে আনা হচ্ছে অনাস্থা ভোট। তাকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দিতে আগামী সপ্তাহেই ওই ভোট হতে পারে। শনিবার বিবিসিকে এমনটাই জানিয়েছেন এসএনপি দলের সিনিয়র নেতা স্টুয়ার্ট হোসি। তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে অনাস্থা ভোটের পদক্ষেপই একমাত্র পথ।
এর আগে শুক্রবার এসএনপি প্রধান নিকোলা স্টারজিওন আগাম নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন এবং সেই সরকারের প্রধান হিসেবে প্রধান বিরোধী দল লেবার নেতা জেরেমি করবিনকে সমর্থন করবেন বলে ইঙ্গিত দেন।
এদিকে বরিস বলেছেন, সরকার আইন মেনে চলবে এবং যথাসময়েই ব্রেক্সিট হবে। শুক্রবার তিনি একথা বলেন। ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বরিস অঙ্গীকারবদ্ধ। আর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমপিদের ক্ষোভ স্বাভাবিক ব্যাপার।
বরিস এখনও মনে করেন, ব্রিটেন চুক্তি করেই ইইউ ত্যাগ করবে। যদিও এমপিরা পার্লামেন্টে আইন পাস করেছেন যাতে বলা হয়েছে, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ব্রেক্সিটের সময় বাড়াতে ইইউর কাছে আবেদন করবেন।
কিন্তু বরিস সেই আবেদনে সাড়া দিচ্ছেন না। সময় বাড়ানোর আবেদনকে তিনি ‘সারেন্ডার অ্যাক্ট’ বলে মনে করেন। বরিস মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতি ইইউর বন্ধুদের মধ্যে এ ধারণা দিচ্ছে যে, পার্লামেন্ট ব্রেক্সিটের পথ বন্ধ করে দেবে কিংবা তারা সময় বাড়ানোর আবেদন করতে বরিসকে বাধ্য করবে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জা ক্লদ জাঙ্কার বলেন, ব্রেক্সিট চুক্তিতে উপনীত হতে তিনি এবং তাদের প্রধান মধ্যস্থতাকারী সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন।
পিবিএ/বাখ