পিবিএ ডেস্ক: আজকের আলোচনার মূল বিষয় বাংলাদেশের ৬৪ জেলার ভিতরে কোন জেলার মেয়েরা সবচেয়ে বেশী সম্পর্ক করে। এটি আসলে খুব নিশ্চিত করে বলা মুশকিল তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার তথ্যের ভিত্তিতে এই বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ দিন গবেষণা করে কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য উপস্থাপন করছি।
ঢাকার অদূরেই শীতলক্ষ্যা নদীর পাশ্ববর্তী অঞ্চল দিয়ে নারায়ণগঞ্জ অবস্থিত। ভৌগলিক কাঠামোর দিক থেকে এবং প্রাচীন ঐতিহ্যে বিবেচনায় নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের ভিতরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। নারায়ণগঞ্জের চোদ্দ থেকে আঠারো বয়সী মেয়েদের ভিতরে শতকরা ৪২ জন মেয়ে ছেলেদের সাথে সম্পর্ক তৈরিতে বেশ আগ্রহী এবং উনিশ থেকে সাতাশ বছর বয়সের মেয়েরা শতকরা ৩৮ জন মেয়ে সম্পর্ক করার জন্য আদাজল খেয়ে লাগে। আর আঠাশ থেকে চুয়াল্লিশ বছর মহিলাদের ভিতরে শতকরা ২০ জন মহিলা পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তবে নারায়ণগঞ্জ শহরের মেয়েদের ভিতরে এই প্রবনতা গুলো অনেক ক্ষেত্রে বেশী। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো নারায়ণগঞ্জ শহরে বসবাসকারী শতকরা ৫৬ ভাগ লোকজনই বাইরের অঞ্চল থেকে আগত।
ছেলেদের সাথে সম্পর্ক করার জন্য দ্বিতীয় ধাপে বেশ আগ্রহী আছে ঢাকা জেলার মেয়েরা। তবে ঢাকা জেলা দ্বিতীয় ধাপে চলে এসেছে শুধুমাত্র কেরানীগঞ্জের মেয়েদের জন্য। কেরানীগঞ্জের চোদ্দ থেকে সাতাশ বছর বয়সী মেয়েদের ভিতরে শতকরা ২৮ জন মেয়ে সম্পর্ক করার জন্য বেশ আগ্রহী। তৃতীয় এবং চতুর্থ ধাপে আছে যথাক্রমে গাজীপুর এবং মানিকগঞ্জ। গাজীপুর তৃতীয় ধাপে এসেছে শুধুমাত্র টংগীর কারণে এবং মানিকগঞ্জ আছেন ধামরাইয়ের জন্য। পঞ্চম অবস্থানে আছে নোয়াখালীর মেয়েরা এবং ষষ্ট অবস্থানে আছে চাঁদপুরের মেয়েরা।
আপনারা যারা বিবাহযোগ্য মানে, যাদের বিয়ের বয়স হয়েছে। এখন কিংবা অদূর ভবিষ্যতে বিয়ে করার চিন্তাভাবনা করছেন তাদের জন্য অনেক গবেষণা করে এই পোস্ট তৈরী করা। বিভিন্ন পরিচিত জন, এর আগের পোস্টে বিভিন্ন জনের অভিমত, আমার নিজের দেখা সব মিলিয়ে বিয়ে করার জন্য জেলা ভিত্তিক মেয়েরা কেমন হয়, সেটা নিয়েই আজকের লেখা।
১. যশোর-খুলনার মেয়েরা অনেক সুন্দরী। যশোরের মেয়েরা কুটনামিতে খুব ওস্তাদ হয়, প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। আর শ্বশুরবাড়ীর লোকজন সহ্যই করতে পারেনা। পরকীয়াতেও ওস্তাদ যশোরের মেয়েরা।
২. চট্টগ্রামের মেয়েরা বাইরের জেলার ছেলেদের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। কিছুটা কনজারভেটিভ।
৩. সিলেটী মেয়েরা পর্দাশীল বেশী। সিলেটি মেয়েরা সাধারণত বাইরের জেলাতে বিয়ে করতে যায় না। আত্মীয়দের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে। সিলেটী মেয়েরা ছ্যাচড়া।
৪. পুরান ঢাকার মেয়েরা খুবই দিলখোশ। ঢাকার অন্য এলাকার মেয়েরা জগাখিচুরি
৫. খুলনার মেয়েরা স্বামী ভক্ত। খুলনার মেয়েরা নাকি ফ্যামিলির ব্যাপারে একটু সিরিয়াস টাইপের হয় ৷
৬. উত্তরবঙ্গের মেয়েরা কোমলমতী হয় এবং বেকুব ও আনক্রিয়েটিভ।
৭. বরিশালের মেয়েরা একটু ঝগড়াটে, ভালো রাঁধুনী, ন্যাচালার সুন্দরী , সংসারী এবং স্বামীভক্ত। কিন্তু বরিশাল থেকে সাবধান, যতই সুন্দর হোক, জীবন বরবাদ করে দেবে।
৮. ময়মনসিংহের মেয়েরা একটু বোকাসোকা, কেউবা বদমাইশ। কেউ কেউ স্মার্ট এবং ডেয়ারিং।
৯. সিরাজগঞ্জের মেয়েরা ভালো, যদি শান্তিতে ঘর করতে চান।
১০. বগুড়ার মেয়েরা ঝাল।
১১. কুষ্টিয়ার মেয়েরা অহংকারী, কিন্তু সেই তুলনায় গুনবতী নয়। মননশীল, রুচিসম্পন্ন। যাকে ভালবাসে সত্যিকারের ভালবাসে, কোন রাগঢাক নাই।
১২. বি-বাড়িয়ার মেয়েরা পলটিবাজ কিন্তু পতিভক্ত ও সংসারী।
১৩. রাজশাহীর মেয়েরা একটু লুজ।
১৪. পাবনার মেয়েরা কুটনা হয়ে থাকে।
১৫. জামালপুরের মেয়েরা বেশি স্মার্ট এবং ডেয়ারিং।এই জেলায় সুন্দরীদের ঘনত্ব বেশি।
১৬. নোয়াখালী: বাবা-মা অথবা আত্মীয়-স্বজনদেরকে ভুলতে চাইলে নোয়াখালীর মেয়েদের তুলনা নেই। বেশির ভাগ মেয়ে কারো কথার নিচে থাকতে চায়না । এরা চরম কুটনা হয় তবে তারা শশুড়বাড়ির জন্য করতে চাইলে নিজের সব দিয়ে করে আর না করলে নাই।
১৭. ফরিদপুরের মেয়েরা চোরা স্বভাবের। ওদের মত কুটিল প্যাচের মানুষ খুব কমই হয়।
১৮. টাংগাইলের মেয়েরা খুব ভাল হয়, বান্ধবী হিসেবেতো বটেই, পাত্রী হিসেবেও। .এ অঞ্চলের মাইয়াগুলো দুনিয়ার বজ্জাত তবে বান্ধবী হিসাবে ভাল..একটু দিলখোলা টাইপের।
১৯. নারায়নগঞ্জের মেয়েরা অতিশয় ভালো, ভদ্র, সামাজিক, কীভাবে পরিবার আর মুরুব্বিদের সামলাতে হয় তারা খুব ভালো জানে। সংসারে ঝামেলাহীন, সবসময় হাসি-খুশি, মিলেমিশে থাকে এমন বউ আনতে চাইলে নারায়নগঞ্জের মেয়েরাই সেরা।
২০. মাদারিপুরের মেয়েরা খুবই কিউট, খুব খরচে, জামাইয়ের পকেট ফাকা করতে উস্তাদ।
২১. চাঁদপুরের মেয়েরা মানুষ হিসেবে খুবই ভালো, অতিথিপরায়াণ।তাদের সরল ভালবাসায় আপনি মুগ্ধ হবেন। আর শ্বশুরবাড়ী চাঁদপুর হলে ইলিশ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আর আসল কথা হলো চাঁদপুরে লোকের মাথায় প্যাচ জিলাপীর থেকেও বেশী। চাদপুরের মেয়েরা ছেলে ঘুরাতে ওস্তাদ।
২২. দিনাজপুরের মেয়েরা যে খুব সুন্দরী হয়।
২৩. চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষ সরল মনের অধিকারী।
২৪. গাজীপুরের মেয়েরা খুব ই ভাল, মিশুক এবং রসিক।এখানকার মেয়েরা জেদী, লাজুক ,মিডিয়াম সুন্দর, মিডিয়াম স্মার্ট এবং সংস্কৃতি মনা।
২৫. নরসিংদীর মেয়েরা উড়াল পঙ্খীর মতো তাদের মন আর চলার ঢং।
২৬. কিশোরগঞ্জের মেয়েরা একটু বোকাসোকা আর ডেয়ারিং প্রকৃতির। মিশুক, বন্ধুপাগল বা বন্ধুপ্রেমী হয়। স্বামী ভক্ত হয় তবে এমনও হতে পারে যে সারাজীবন বউয়ের দ্বারা নিগৃহীত হওয়া; অসম্ভব কিছু না।
২৭. কুমিল্লার মেয়েরা শ্বশুরবাড়ির মানুষদের পছন্দ করেনা। কুমিল্লার মেয়েরা সুন্দরী, অনেক দায়িত্বশীল, তবে সংসারে প্রভাব বিস্তার করতে বেশি পছন্দ করে।
পিবিএ/বিএইচ