বশেমুরবিপ্রবিতে পিঠা উৎসব

পিবিএ,বশেমুরবিপ্রবি: ‘ বাঙ্গালিয়ানায় সাজবো সাজ , পিঠা উৎসবে মাতবো আজ ’এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) বাংলা বিভাগের আয়োজনে পালিত হচ্ছে পিঠা উৎসব-১৪২৬ ।

সোমবার সকালে জয় বাংলা চত্বর হয়ে র‍্যালি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শাহজাহান এ উৎসবের উদ্বোধন করেন।

এ সময়ে বাংলা বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক – শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, উপস্থিত ছিলেন।

এই উৎসবে গ্রাম বাংলার বিশেষ ঐতিহ্যবাহী বাঁশের চালা ও হোগলার ঘরে চন্দ্রপুলি, রসমাধুরি, হৃদয়হরণ, ঝালকুলি, কস্তূরী পিঠা, ইলিশ পইটা, নারকেলের বরফি, পাটিসাপটা, নকশি পিঠাসহ প্রায় দেড় শতাধিক পিঠা পরিবেশন করা হয়।

আবার আধুনিকতার সাথে মিল রেখে নানাধরনের হাস্যরসক নাম করন করে নতুন পিঠা সামনে নিয়ে আসে কিছু শিক্ষার্থীরা। দেখা মেলে বিভিন্ন বাঙালিদের পিঠার নামানুসারে স্টলের নাম গুলো, আর সেগুলো সাজানো হয় দেশীয় সাজে।

বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, বাংলা বিভাগ প্রতিবছরই এই উৎসব পালন করে। সাধারণ শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় সকলের বিপুল অংশগ্রহণ উৎসবের এই দিনটি মুখরিত থাকে।

পিঠা উৎসব সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য(ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শাহজাহান বলেন, পিঠা পুলি বাঙালীদের অন্যতম ঐতিহ্য, কিন্তু বর্তমানে এই চর্চা অনেকটা কমে এসেছে। মূলত এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং শিক্ষার্থীদের পিঠা পুলির সাথে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে আমরা প্রতিবছর এই উৎসব আয়োজন করে থাকি। এ উৎসবে গোপালগঞ্জসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা থাকে। আমাদের শিক্ষার্থীরা এই উৎসব অত্যন্ত আনন্দের সাথে উপভোগ করে। আমি মনে করি সকলের উচিত আমাদের ঐতিহ্যের এসকল পিঠা পুলি তৈরির চর্চা বৃদ্ধি করা।

এসময় বাংলা বিভাগের রাজু জানান “পিঠা উৎসব বাঙালির এক উৎসব, যেখানে বশেমুরবিপ্রবি’র বাংলা বিভাগ প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানর আয়োজন করে আসছে। নানা ধরনের পিঠা বানিয়ে এনেছে সকল শিক্ষার্থীরা। সকলের আগমনে আমাদের উৎসব আরো প্রানবন্ত হয়ে উঠেছে। সেই সাথে বাংলার সুন্দর সুন্দর পিঠার নাম, তার রুপ বৈচিত্র্য, এবং সেই স্বাদ নিতেই সবাই আনন্দঘন করে তুলেছে প্রতিটি স্টল প্রাঙ্গণ।”

উল্লেখ্য, প্রতিবছরই বাংলা বিভাগের আয়োজনে ফাল্গুনের মাসে এ উৎসব আয়োজন করা হয়। উৎসবটি বাংলা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত হলেও এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ থাকে।

পিবিএ/তুশার/এমএসএম

আরও পড়ুন...