বশেমুরবিপ্রবিতে যৌন হয়রানী দায়ে শিক্ষক বরখাস্ত

BSMU-PBA

পিবিএ,গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের চেয়্যারম্যান সহকারী অধ্যপক ইঞ্জিঃ মোঃ আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বোর্ড। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মোঃ নুরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. মো: নুরউদ্দিন আহমেদের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানাগেছে, দুই ছাত্রীকে যৌন হয়রানী বিষয়ে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সহকারী অধ্যপক ইঞ্জিঃ মোঃ আক্কাস আলীকে আজীবনের জন্য বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হল। সেই সাথে জানায়ারী-জুন ২০১৯ হতে জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ৮ সেমিষ্টারের জন্য একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হল। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. মো: নুরউদ্দিন আহমেদ জানান, গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে ওই সময়ে (৪ বছর) তিনি বেতনসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যান্য সুযোগ গ্রহন করতে পারবেন কি না তা তাঁর জানা নেই বলে জানান।

তিনি আরো জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার দিকে তিনি শৃংখলা বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চিঠিটি স্বাক্ষর করেছেন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও শৃংখলা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন গোপনীয় একটি বিষয়।

তদন্ত কমিটি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত দুই ছাত্রীর অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে কি না এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিবেচনা করে এবং তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ওপর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উল্লেখিত সময়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুরো বেতন ও সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও তাকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোন কাজ করতে হবে না।

এরআগে দুই শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে গত ৭ এপ্রিল থেকে (রোববার) শিক্ষার্থীরা ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জন করে ওই শিক্ষকের স্থায়ী অপসারনের দাবীতে আন্দোলনে নামে। এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোঃ আব্দুর রহিম খানকে সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. মোঃ বশির উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ঈশিকা রায় ও এসিসিই বিভাগের সভাপতি ড. মোঃ কামরুজ্জামান। তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বোর্ডের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর বিশ্ববিদ্যালয় শৃংখলা বোর্ড অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপরোক্ত সিদ্ধান্ত দেন।

পিবিএ/এফএস

আরও পড়ুন...