পিবিএ,দক্ষিণ আফ্রিকা: দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ২৫০ টি দোকান লুট করেছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। এতে প্রায় ৩’শ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের। দক্ষিণ আফ্রিকায় গত দশ দিন ধরে চলমান অভিবাসন বিরোধী জেনোফোবিয়ায় বিদেশিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ফলে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা।
এদিকে জেনোফোবিয়া নিয়ন্ত্রণ চেষ্টার সময় স্থানীয় পুলিশের গুলিতে ২ আফ্রিকান নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ সময় প্রায় তিনশ জনকে আটক করা হয়েছে।
গত ২৩ আগস্ট জোহানসবার্গ শহর থেকে শুরু হওয়ার পর থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেবিটন, ইস্টান কেপ, বেনোনি, আটলাস, মেলবোর্ন, একটনবিল, সুয়েটোসহ ছোট শহর থেকে শুরু করে লোকেশন গুলোতেও ব্যাপক লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে স্থানীয় অভিবাসন বিরোধীরা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় দীর্ঘদিন অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ব্যবসায়ীরা জানান, ২০০৮ সালে প্রথম শুরু হয় জেনোফোবিয়া যা ২০১৯ এসে বহুগুণে ধ্বংসাত্মক রূপ নিয়েছে। এই নিয়ে দেশটিতে বিদেশি ব্যবসায়ীদের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, জেনোফোবিয়া শুরুর দিকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সর্তক করে কাউন্সিলর খালেদা বেগম বার্তা দিয়েছিলেন। এখনো সেই সর্তকবার্তা বহাল থাকবে।
তিনি আরোও বলেন, আমরা বাংলাদেশিদের নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় পুলিশের সাথে যোগাযোগ রেখে চলছি। তবে সবাই যে যেখানে আছেন সর্তক থেকে চলাফেরা করবেন।
মূলবান জিনিসপত্র হেফাজত করে রাখবেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী নিদর্শনা দেওয়া হবে। চলমান জেনোফোবিয়ার ফলে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চীন, তাইওয়ান, আফ্রিকা মহাদেশের মোজাম্বিক, জিম্বাবুয়ে, নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, মালাওই, সোয়াজিল্যান্ড, ইথিওপিয়ানের ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
পিবিএ/আরিফুর রহমান দিলু/বাখ