বাংলাদেশের কাছে পাত্তাই পেলো না ওয়েস্ট ইন্ডিজ

হারই কেবল সঙ্গী হচ্ছিল। টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও একই হাল বাংলাদেশের। দুই টেস্টের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ফল বদলায়নি। হারের বৃত্তে আটকে থাকা বাংলাদেশ অবশেষে জয়ের দেখা পেলো ‘প্রিয়’ ফরম্যাট ওয়ানডেতে। গায়ানার প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দাঁড়াতেই দেয়নি সফরকারীরা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে জয়ের পথ আগেই তৈরি করে রেখেছিল। পরে ব্যাটাররা সহজেই পেরিয়ে গেছেন বাকি পথ।

রবিবার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ম্যাচ শুরু হতে দেরি হয়েছে। তাই ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪১ ওভারে। নির্ধারিত এই ওভারে স্বাগতিকরা ৯ উইকেটে করে ১৪৯ রান। সহজ লক্ষ্য ৩১.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় বাংলাদেশ। তাতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেছে ‍তামিম ইকবালরা।

বাকি দুই ফরম্যাটের তুলনায় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। সেটি গায়ানার প্রথম ম্যাচে আরেকবার বুঝিয়ে দিলো সফরকারীরা। ৫০ ওভারের ফরম্যাটে ফিরতেই আলো ছড়ালো। তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর মাঝারি ইনিংসের পর মাহমুদউল্লাহ ও নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা।

যদিও বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। ৪১ ওভারে ১৫০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন লিটন দাস। যদিও তার আউট নিয়ে বিতর্ক আছে। এই ওপেনার মাত্র ১ রানে আকিল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার। জোরালো আবেদনে ফিল্ড আম্পায়ার বেশ খানিকটা সময় নিয়ে্ আঙুল তোলেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নেন লিটন। যদিও টিভি আম্পায়ার ওই সিদ্ধান্তে বহাল রাখেন। তবে রিপ্লেতে লিটনের ব্যাট ও বলের মাঝে ফাঁকা মনে হয়েছে।

শুরুতে উইকেট হারালেও তামিম ও শান্ত মিলে টেনে তোলেন দলকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা দারুণ খেলতে থাকলেও ভুল বোঝাবুঝিতে বিপদ ডেকে আনেন। অধিনায়ক তামিম হন রান আউটের শিকার। ফেরার আগে ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় খেলেন ৩৩ রানের ইনিংস।

তার বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি বাঁধেন শান্ত। ছিলেন লক্ষ্যের পথেই। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন ঘটে শান্তর। গুডাকেশ মোটির বলে শর্ট মিড উইকেটে ধরা পড়েন নিকোলাস পুরানের হাতে। তাতে শেষ হয় তার ৩৩ রানের লড়াকু ইনিংস। ৫৭ বলের ইনিংসে মারেন এক চার ও এক ছক্কা।

এই পুরানের বলেই আবার ফেরেন আফিফ হোসেন। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক এর আগেই উইকেট পেতে পারতেন। কিন্তু মাহমুদউল্লাহকে ক্লিন বোল্ড করেও হতাশ হতে হয় বলটি ‘নো’ হওয়ায়। পুরান সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও মিটিয়ে নেন আফিফকে আউট করে। বাঁহাতি ব্যাটার ১৭ বলে করেন ৯ রান।

আফিফ ফেরার পর বাকি কাজ সেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও সোহান। পঞ্চম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানের জুটিতে নিশ্চিত করেন দলের দল। মাহমুদউল্লাহ ৬৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪১ রানে। আর সোহান অপরাজিত ২৭ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২০ রানে। চমৎকার বোলিংয়ে ম্যাচসেরার ‍পুরস্কার জিতেছেন মিরাজ।

আরও পড়ুন...