আজ একজন শিল্প মালিকের সাথে কথা হয়। তিনি বেশ জোড় দিয়েই বললেন খেটে খাওয়া মানুষের উপর আল্লাহর বিশেষ রহমত রয়েছে। তা না হলে করোনা মহামারিতে এই যে শ্রমিকরা এখান থেকে সেখানে দৌড়াদৌড়ি করেছে। তারপরও তাদের মাঝে সেরকম কোন করোনার সংক্রমণ বা মৃত্যুর খবার পাওয়া যায়নি।
তিনি তার কারখানার উদাহরণই দিলেন। তিনি দেশের অন্যতম বৃহৎ একটি পোশাক শিল্প গ্রুপের পরিচালক। তাদের পোশাক কারখানায় লক্ষাধিক শ্রমিক কর্মচারী আছে। এখনো পর্যন্ত তাদের মালিকদের ৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কর্মকর্তা কয়েকজন। আর শ্রমিক শুধুমাত্র ৩ জন। অথচ শ্রমিকরা দল বেঁধে কারখানায় আসে যায়। কারখানার ভিতরে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কারখানায় আসতে যেতে ঝুকি রয়েছে। এর মাঝেই তারা ঝুকি নিয়ে আসা যাওয়া করছে। তারপরও আল্লাহর রহমত আছে বলেই সেরকম কোন কিছু ঘটে নাই।
গণমাধ্যমকর্মী হিসাবে এটুকু বলতে পারি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার সাধ্যের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। সরকারের সম্মুখ যোদ্ধা চিকিৎসক, পুলিশ, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, রাজনীতিবিদ চেষ্টা করছেন। সাংবাদিকরা ঝুকি নিয়েই নিজেদের কাজ প্রতি মুহুর্তে অব্যাহত রেখেছেন।
সংক্রমণ হয়ত বাড়ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে না। তবে মানুষের মাঝে কিছুটা হলেও সচেতনতা বেড়েছে। সরকারের নিরলশ প্রচেষ্টা অব্যহত আছে।
করোনা কখন বা কবে যাবে। এটা আল্লাহই ভাল জানেন। তবে আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজের মধ্যে থাকতে হবে। বেশীদিন এভাবে বসে থাকা সম্ভব না। লকডাউন কোন সমাধান না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ অব্যহত রাখাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।
আগেই এক লেখার মাধ্যমে পাঠকদের জানিয়েছি। আমি আমার এক শিল্পপতি আত্মীয় করোনা রোগির সাথে ঢাকা মেডিকেলে ছিলাম। আল্লাহর রহমতে আমি ও আমার পরিবার সুস্থ্য আছি। সরকার ও বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেই সুস্থ্য আছি।
ফের ওই শিল্পপতির কথায় আসি। আল্লাহর রহমত। খেটে খাওয়া শ্রমিকরা নিজেদের রুটিরুজির জন্য ছুটে চলে। তারা শুধু যে নিজেদের জন্য কাজ করছে তা নয়। বাংলাদেশের অর্থনীতিরি বড় চালিকা শক্তি এসব কৃষক, শ্রমিক, মজুর। করোনার ভয় বা কোন কিছুই তাদের নেই। ঠিক একইভাবে আসুন আমরাও কাজ করি। দেশের জন্য কাজ করি। আল্লাহর রহমত কামনা করে কাজ করি। যথা সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করি।
পিবিএ/শতাব্দী আলম