বাংলাদেশ এবং শেখ হাসিনার বন্ধুত্ব চীন-ভারত উভয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

ফাইল ছবি।

দক্ষিণ এশিয়া রাজনীতিতে বাংলাদেশ এখন বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি নাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দুই পরাশক্তি চীন-ভারত যে কোন বিষয়ে বাংলাদেশকে পাশে পাবার প্রতিযোগীতায় রয়েছে। সবশেষ লাদাখ সীমান্ত সংঘর্ষ ঘটনায় দুই পরাশক্তির বাংলাদেশ সন্তুষ্টি অর্জনের প্রকাশ্য চেষ্টা তারই ইঙ্গিত করে।

অস্ত্রভান্ডারই পরাশক্তির মুল নিয়ামক নয়। ভুখন্ডের বিশালত্ব কেবলই সংখাতত্ত্ব। একজন মানুষের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও কুশলী ভু-রাজনীতি তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় রাজনৈতিক পরাশক্তি। একথা বিশ্ব রাজনীতিতে নিয়মিত চর্চিত বিষয়। যে কারনে জাতিসংঘসহ যে কোন বিশ্ব ফোরামে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্ব নেতাদের পাশেই দেখা যায়।

চীন বাংলাদেশকে বৃহৎ পরিসরে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম বিষয়টিকে শব্দবাণে কটাক্ষ করলেও একথা বলতে ভুল করেনি যে, বাংলাদেশ ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু।

করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। প্রবাসী রেমিটেন্স এবং তৈরী পোশাক রপ্তানী নির্ভর বাংলাদেশে এর প্রভাব আরো প্রকট। এ অবস্থায় চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধা নিঃসন্দেহে সুযোগ সৃষ্টি করবে। তবে এটা নির্ভর করে এ সুযোগ কিভাবে কার্যকর করা হবে তার উপর।

চীন বিশ্বের এক নম্বর তৈরী পোশাক রপ্তানীকারক দেশ। অপরদিকে তারা প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পোশাক আমদানি করে।

বাংলাদেশ দ্বিতীয় প্রধান পোশাক রপ্তানীকারক সাথে চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে চীনের আভ্যন্তরীন বাজারে বাংলাদেশী পোশাকের চাহিদা বাড়াবে।

অন্যদিকে ভারতের বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ১০৪ কোটি ডলারেরও বেশী মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।

জনবহুল দুই বৃহৎ প্রতিবেশীর বিশাল বাজার বাংলাদেশের রপ্তানী বানিজ্যের জন্য গুরুত্ব পূর্ণ। সেই সুযোগ বেশ ভালভাবেই কাজে লাগাচ্ছে শেখ হাসিনার কুশলি রাজনীতি।

করোনাকাল কেটে যাবে। কিন্তু মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাপনে যে প্রভাব রেখে যাবে তা মোকাবেলায় শেখ হাসিনার এই ভু-রাজনৈতিক কৌশল বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর। চীনের শুল্ক সুবিধা এর সবশেষ প্রাপ্তি।

পিবিএ/শতাব্দী আলম

আরও পড়ুন...