পিবিএ, খেলাধুলা : গোটা বিশ্ব জুড়েই শহিদ আফ্রিদির ভক্ত আছে। বাংলাদেশে মনে হয় ভক্তের সংখ্যা একটু বেশিই। তাই স্টেডিয়ামে ‘মেরি মি আফ্রিদি’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বাঙালি ললনাদের দেখা যেত একসময়। আবার অনেকে একাত্তরের ইতিহাস ভুলে ধর্মীয় জিকির তুলে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের স্তুতি করেন এখনও। সেই ভক্তদের জন্য এবার ‘বড় উপহার’ দিলেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক। তার মতে, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল খুবই নিম্মমানের। যদিও গত চার বছর ধরে বাংলাদেশের কাছে সমানে নাকানি চুবানি খেয়ে গেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড বেশ কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছে। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ছাড়াও বিশ্রাম দেওয়া হয় ফখর জামান, বাবর আজম ও হাসান আলী, শাদাব খান ও শাহীন আফ্রিদিকে। কারণ হিসেবে বলা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ ও পিএসএলে টানা খেলার পর খেলোয়াড়দের বিশ্রামের প্রয়োজন। তাই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে সতেজ অবস্থায় ক্রিকেটারদের চায় বোর্ড। তবে পাকিস্তানের তরুণ খেলোয়াড়েরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে কোনোরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই হার মেনেছে পাকিস্তান।
এতে সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবির সমালোচনা করতে গিয়ে বাংলাদেশকে অকারণে টেনে এনেছেন আফ্রিদি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘খেলা যদি বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে বা ৭/৮ নম্বর দলের বিপক্ষে হতো তাহলে হয়তো আমি মানতাম সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দিয়ে নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া হোক। তবে খেলা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, তাদের বিপক্ষে রান পেলে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। যাদেরকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এমন না তারা ১৫-২০ ধরে ক্রিকেট খেলছে। তাই আমার মনে হয় না তাদের বিশ্রাম দেওয়া ঠিক ছিল।’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালেও পাকিস্তানের মূল দলকে ওয়ানডে সিরিজে ৩ – ০ তে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ দল। ২০১৬ সালে এশিয়া কাপেও আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দলকে এশিয়া কাপে হারায় বাংলাদেশ দল। ২০১৮ সালে নিজেদের শক্তিশালী দল নিয়েও সাকিব তামিম বিহীন বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল পাকিস্তান দলকে। আর সার্বিক হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে গত ৫ বছরে শেষ ৬টি সীমিত ওভারের ম্যাচে ৫টিতেই পাকিস্তানের শক্তিশালী দলকে হারায় টিম টাইগার।
আফ্রিদি এই মন্তব্য করার আগে একটু ভেবে দেখলেন না যে এতে তার নির্লজ্জতা প্রকাশ পেয়ে যাবে!
পিবিএ/এমএস