পিবিএ,ঢাকা: গরিব মানুষের ভাগ্যের কথা এই রাষ্ট্র কখনও চিন্তা করে না মন্তব্য করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি হয়ে গেছে ধনীদের।’
শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ: নিরাপত্তা বীমার প্রয়োজনীয়তা, আলাদা তহবিল গঠন ও পরিচালনা’ বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেছেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।
অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘ধনীদের তেলে মাথায় কত তেল দেয়া যায় তা আমরা সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রে যে আইনগুলো রয়েছে তার ভেতর স্পষ্টভাবে দেখতে পাই। এদিকে আমাদের আইন সভায় ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য যেভাবে বাড়ছে সেখানে আইনের প্রয়োগ কীভাবে হবে।’
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের আলাদা তহবিল গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণে আলাদা তহবিল গঠন করার ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি। কারন এই ফান্ড দুর্নীতির আরও একটি নতুন সংযোজন হবে। যারা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত হন তাদের কল্যাণ ফান্ড গঠন করার দায়িত্ব কার সেটা ভাবতে হবে । সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ টা আসলে কে দিবে? মালিক ,সরকার, না বীমা কোম্পানি কোথা থেকে আসবে সেটা ভাবার সময় এসেছে।’
ঋণ খেলাপি প্রসঙ্গে সাবেক এই মানবাধিকার কমিশনার বলেন, ‘একজন মন্ত্রী যখন বলেন ঋণখেলাপি সবাই খারাপ নয়, এই কথা তিনি কীভাবে বলেন সাধারণ মানুষের উপরে করের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে মানুষের টাকা মেরে এই সব বড় বড় লোক ঋণ খেলাপি হচ্ছে। আবার তারাই নাকি ভালো লোক এটা হাস্যকর।’
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী তার বক্তব্যে বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আলাদা তহবিল ও নিরাপত্তা বিমান প্রয়োজন। কারণ আমরা যখন বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে বীমা করি, দুর্ঘটনার পর এসব টাকা বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে নিতে গেলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। তাই অচিরেই সড়ক দূর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণে আলাদা তহবিল গঠনের দাবি জানাই।’
বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে কে কিভাবে ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করবে এটা কোথাও ভালোভাবে বলা নেই। এদিকে সড়ক পরিবহন আইনের এমন ফাঁকফোকর রাখা হয়েছে যাতে গরিব লোক টাকা না পাই।’
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সৈয়দ নাইমুল ওয়াদুদ, অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
পিবিএ/বাখ
