
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ পুলিশের পোশাক ও লোগো পরিবর্তনের বিষয়ে আলোচনা হয়। এরই মধ্যে নতুন পোশাকের ট্র্যায়াল হয়েছে। এবার পুলিশের লোগো পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমান লোগোতে থাকা পাল তোলা নৌকা বাদ পড়ছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (লজিস্টিকস) নাছিমা বেগমের সই করা এক চিঠিতে লোগো পরিবর্তনের এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, শিগগির মন্ত্রণালয় নতুন লোগোর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
নতুন লোগোটি হবে এরকম- পানির ওপর জাতীয় ফুল শাপলা, ধান ও গমের শীষ যুক্ত, পাটপাতার টবে লেখা পুলিশ।
লোগো পরিবর্তনের চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের বিদ্যমান মনোগ্রাম/লোগো পরিবর্তনের গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন মনোগ্রাম/লোগো চূড়ান্ত করা হয়েছে। যা এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে প্রজ্ঞাপন জারির অপেক্ষায় রয়েছে।
এমতাবস্থায় জেলা/ইউনিট ব্যবহৃত পতাকা, সাইনবোর্ড, ইউনিফর্মসহ অন্যান্য সামগ্রী পরিবর্তিত মনোগ্রাম/লোগো, ব্যবহারের নিমিত্তে প্রস্তুত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হওয়া মাত্রই তা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, পুলিশের মনোগ্রাম পরিবর্তন করে ২০০৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে ২০০৯ সালে এই মনোগ্রামে পরিবর্তন করা হয়, যেটি বর্তমানে আছে। সেই লোগোতে রয়েছে, পাল বাঁধা নৌকার দুই পাশে গম ও ধানের শীষের মালা। পালের ওপরে একটি শাপলা। আর নৌকার নিচে বাংলায় পুলিশ লেখা।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে তিন দিন দেশে সরকার না থাকার নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
১১ আগস্ট পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তাদের ১১ দফা দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। সেই বৈঠকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগোতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়।
পরদিন ১২ আগস্ট পুলিশ সদরদপ্তরের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত ডিআইজি (লজিস্টিকস) মোহাম্মদ আতাউল কিবরিয়াকে প্রধান করে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।