পিবিএ ডেস্ক: মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যকার সংঘর্ষে রোববার রাখাইন রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তে সাত গ্রামবাসী নিখোঁজ হয়েছে। রাখাইনের বুথিডাং জনপদের স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউ অং থাং শ্বে এমন তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, নিখোঁজদের মধ্যে এক বৃদ্ধা, তিন শিশু ও তিন পুরুষ রয়েছে। তিনি জানান, রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে সংঘর্ঘ শুরু হয়। সংঘর্ষের পর পুরো গ্রামবাসী পালিয়ে যায়। এর পর থেকে সাতজন নিখোঁজ রয়েছে। দাতব্য সংস্থাগুলি তাদের অনুসন্ধান করছে।
ইউ অং থাং শ্বে বলেন, সাই থিন চাওং ব্রিজের কাছে লড়াই শুরু হওয়ার পরে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া ২০০ গ্রামবাসী বুথিডাং শহরে স্বজনদের সঙ্গে অবস্থান করছে। আরাকান আর্মির মুখপাত্র ইউ খাইন থুখা বলেছেন, একদিন আগে কোয়াং তাং গ্রামে সামরিক বাহিনী পরিচালিত হামলার প্রতিশোধ নিতে রোববার ভোরে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা ব্রিজের কাছে একটি সেনাক্যাম্পে আক্রমণ করেন। সেনারা গ্রামে আগুন দিয়েছিল এবং মানুষকে নির্যাতন করেছিল। সে কারণেই আমরা সামরিক বাহিনীকে আক্রমণ করেছি।
কোয়াং তাং গ্রামে ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের কর্নেল উইন জাও ওও। তিনি বলেন, বিদ্রোহীরা গুজব সৃষ্টি করতে কোয়াং তাং গ্রামে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ছবি প্রচার করেছে। কোয়াং তাং গ্রামের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে আরাকান আর্মির ঘাঁটি রয়েছে।
এর আগের হামলার সময় আরাকান আর্মি যোদ্ধারাই তাদের ঘাঁটির নিকটবর্তী ফোন নিয়ো লেইক গ্রামে তিনটি ঘর পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন কর্নেল উইন জাও ওও।
ফোন নিয়ো লেইক ব্রিজটি বাংলাদেশের কাছে ও পণ্য পরিবহনের মূল পথের অংশ। সেতুটি রক্ষার জন্য সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। সেতুটি ধ্বংস হয়ে গেলে পণ্যের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে জানান তিনি।
পিবিএ/বাখ